দেশে ২০২০ সালে হার্ট অ্যাটাকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
২০২০ সালে বাংলাদেশে মোট ৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৩ জন মানুষ বিভিন্নভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ব্রেন স্ট্রোকে। এতে মারা গেছেন ৮৫ হাজার ৩৬০ জন। আর কোভিডে মারা গেছেন ৮ হাজার ২৪৮ জন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে মারা গিয়েছিল ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪১ জন। সে বছরও দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট অ্যাটাক।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে মারা যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৯ সালে ৪৫ হাজার ৫০২ জন ব্রেন স্ট্রোকে মারা যায়, আর ২০২০ সালে মারা যায় ৮৫ হাজার ৩৬০ জন।
হার্ট অ্যাটাক বাদে অন্যান্য হৃদরোগে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২০১৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৭ হাজার সাত জন মারা গেছে। আর ২০২০ সালে মারা গেছে ৪৩ হাজার ২০৪ জন।
কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মারা গেছে দ্বিগুণের বেশি। ২০১৯ সালে কিডনি রোগে মারা গেছে ১০ হাজার ৬২২ জন, আর ২০২০ সালে মারা গেছে ২৮ হাজার ১৭ জন।
২০১৯ সালের তুলনায় কমেছে অপুষ্টিতে মৃত্যুর সংখ্যা। ২০১৯ সালে অপুষ্টির শিকার হয়ে মারা গিয়েছিল ১৭ হাজার ৩০৯ জন, আর ২০২০ সালে মারা গেছে আট হাজার ৭৭২ জন।
২০১৯ সালের তুলনায় কমেছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যাও। ২০২০ সালে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৭৮৬ জন, আর চিকুনগুনিয়ায় ৫২৪ জন। যেখানে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিল দুই হাজার ৩৬০ জন, আর চিকুনগুনিয়ায় চার হাজার ৪৫৮ জন।