ঢাকা টাওয়ার ডেস্ক : যশোর অভয়নগরে মিতা রানী মন্ডল (২৩) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের কারণে পিটিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করছেন গৃহবধূর পিতা দিলিপ মন্ডল। পুলিশ বলছে আত্মহত্যা। মঙ্গলবার বিকালে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত মিতা রানী অভয়নগর উপজেলার ঘোড়া দায়ড়ী গ্রামের জয় মন্ডলের স্ত্রী ও সদর উপজেলার মোবারেক কাঠি গ্রামের দীলিপ মন্ডলের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূর পিতা দীলিপ মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তাদের একটা ছোট মেয়ে আছে। বিবাহের সময় যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা জামায়কে দিয়েছি,তারপরে অনেক বার যৌতুক হিসেবে টাকা দেওয়া হয়। এখনো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আমার মেয়েকে প্রায় নির্যাতন করে থাকে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এবং সকালে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদেরকে জানাই। আমারা সেখানে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
অভয়নগর থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) ফারুক হোসেন বলেন,আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসি। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি স্বামীর উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এঘটনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।