ঢাকা অফিস: ভাঙনের একেবারেই দ্বারপ্রান্তে বিতর্কিত ও আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির আরও একটি সংসার। বাকি শুধু কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা। পরীমনির যেমন ইচ্ছে নেই স্বামীর সংসার করার, তার বর্তমান স্বামী অভিনেতা শরীফুল রাজও সোমবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর পরীমনির সঙ্গে সংসার করতে চান না।
সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে প্রশ্ন, রাজের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেলে পরীমনির সংসার ভাঙার সংখ্যা কত হবে? চার নাকি পাঁচটি?
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, মাত্র চার বছর বয়সে মা হারানোর পর পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালী গ্রামে নানা বাড়িতে থাকতে শুরু করেন পরীমনি। পরবর্তীতে সেখানকার একটি স্কুল থেকেই এসএসসি পাস করেন।
এসএসসি পাসের পরই খালাতো ভাই ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে পরীমনির বিয়ে হয়েছিল। দুই বছর সংসারও করেছিলেন ইসমাইলের সঙ্গে। এরপরই প্রথম দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটান পরীমনি। (সূত্র: যুগান্তর। ৬ আগস্ট, ২০২১)।
এরপর ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল ফেরদৌস কবীর সৌরভ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় পরীমনির। সৌরভ ছিলেন পেশায় একজন ফুটবলার। বাড়ি যশোরের কেশবপুরে।
দ্বিতীয় স্বামী সৌরভের পরিবারের সম্মতিতেই পরীমনি অভিনয় জগতে এসেছিলেন বলে প্রচলিত আছে। সেই স্বামীর সঙ্গে অভিনেত্রীর নাকি এখনও ডিভোর্সই হয়নি। তবে তারা আলাদা হয়েছেন বহু আগে। তাদের মধ্যে যোগাযোগও নেই। (সূত্র: কালের কণ্ঠ। ৫ আগস্ট ২০২১)।
পরীমনি এই দুটি বিয়ে করেছিলেন চলচ্চিত্রে আসার আগে। চলচ্চিত্রে আসার পর তিনি আরও একাধিক বিয়ে করেছেন। ছেড়েও এসেছেন সেই সংসার। সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে যা দেশের কারোই অজানা নয়।
২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল বিনোদন সাংবাদিক এবং কালচারাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি তামিম হাসানের সঙ্গে বাগদান সেরেছিলেন পরীমনি। সেই অনুষ্ঠানের বহু ছবি এখনও ঘুরছে গুগলসহ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে।
২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল পরীমনি ও সাংবাদিক তামিমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ভেঙে যায় সম্পর্ক। যদিও ঢালিউডে কান পাতলে শোনা যায়, আংটিবদলের পর পরীমনি এবং তামিম নাকি বিয়েও সেরে ফেলেছিলেন গোপনে। কিন্তু টেকেনি সে সংসার।
এরপর ২০২১ সালেরই মার্চে থিয়েটারকর্মী ও চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান রনিকে খুবই অল্প দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেন পরীমনি। সে সময় হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ নামে একটি ছবিতে অভিনয়ের কথা ছিল পরীমনির।
রনি ছিলেন সেই ছবির সহকারী পরিচালক। সেখান থেকেই প্রেম, পরে বিয়ে। ২০২১ সালের ১০ মার্চ বিয়ে করেছিলেন রনি ও পরীমনি। কিন্তু এই সংসার তিন মাসও টেকেনি। রনিকে ডিভোর্স দিয়ে দেন পরীমনি।
পরের বিয়েটা করতেও খুব বেশি সময় নেননি পরীমনি। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি গোপনে বর্তমান স্বামী রাজকে বিয়ে করেন। সে খবর প্রকাশ করে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। এও জানান, তিনি রাজের সন্তানের মা হতে চলেছেন। গত ১০ আগস্ট তারা পুত্রসন্তানের অভিভাবক হন।
কিন্তু টিকছে না পরীমনির এই সংসারও। এরই মধ্যে নায়িকা রাজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। খুব শিগগির তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এখন এই বিচ্ছেদটি হলে পরীমনির সংসার ভাঙার সংখ্যাটা কত হবে, আপনারাই হিসাব করুন।