ঢাকা অফিস: মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ‘সব ধরনের’ সুযোগ সুবিধা থাকা মেট্রোরেল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ওঠানামার সুবিধার জন্য মেট্রোরেল স্টেশনের লিফটে রয়েছে সব ব্যবস্থা। হুইল চেয়ারের র্যাম্পসহ ব্লাইন্ড স্টিক ও ব্রেইল পদ্ধতির সুবিধাও সেখানে রাখা হচ্ছে। এছাড়া হুইল চেয়ারে সহজে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য রয়েছে প্রশস্ত গেইট।
রেল কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, হুইল-চেয়ার ব্যবহারকারী এবং খর্বকায় ব্যক্তিরা যাতে টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে সহজে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন, সেজন্য অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় টিকিট বুথ থাকবে।
একইভাবে হুইলচেয়ারের যাত্রীরাও যাতে টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পেইড-জোনে (স্টেশনের যে এলাকায় বিনা টিকেটে প্রবেশ করা যায় না) সহজে প্রবেশ এবং বের হওয়ার জন্য হুইল চেয়ার ব্যবহারের উপযোগী প্রশস্ত গেট রয়েছে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যাতে লিফটে সহজে ওঠা-নামা করতে পারেন, সেজন্য হাতল থাকবে। লিফটের বাটন থাকবে অপেক্ষাকৃত নিচে, নিজের অবস্থান বোঝার জন্য লিফটের মাঝে আয়নাও থাকবে।
লিফটের কন্ট্রোল সিস্টেমে ব্রেইল পদ্ধতির নির্দেশনার পাশাপাশি হুইলচেয়ার যাত্রীদের সহজে স্টেশনে ওঠা-নামার জন্য লিফটের সম্মুখে ঢালু পথ (র্যাম্প) থাকবে। চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কনকোর্স এলাকায় বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা রয়েছে।
মুক ও বধির যাত্রীরা স্টেশন ও ট্রেনের ডিজিটাল নির্দেশিকা অনুসরণ করে যাতায়াত করতে পারবেন। আর অন্ধ যাত্রীদের ব্লাইন্ড-স্টিক ব্যবহার করে হলুদ রঙের ট্যাকটাইল ধরে যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে স্টেশনে।
টয়লেট, লিফট ও অগ্রাধিকার আসন সহজে বোঝার জন্য প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে শনাক্তকারী চিহ্ন থাকবে। এছাড়া স্টেশন এলাকায় এবং ট্রেনের ভেতরে অডিও ও ভিজুয়াল ইনফরমেশন সিস্টেমে অন্যান্য যাত্রীর মতো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যাত্রীরাও শোনা ও দেখার মাধ্যমে জানতে পারবেন যাত্রাপথে নিজের অবস্থান এবং গন্তব্য সম্পর্কে।
কোচের ফ্লোর ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ওপরিভাগ সমতলে রাখতে ট্রেনে ‘এয়ার ব্যাগ সাসপেনশন’ যুক্ত করা হয়েছে।
পা পিছলানোর মতো দুর্ঘটনা রোধে এবং হুইলচেয়ার ও ব্লাইন্ড-স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে কোচের ফ্লোর ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম- এর ওপরিভাগ সমতলে রাখতে ট্রেনে ‘এয়ার ব্যাগ সাসপেনশন’ যুক্ত করা হয়েছে।
কোচের বাইরের দিক এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝে সবজায়গায় এমনভাবে ফাঁকা রাখা হয়েছে, যাতে যাত্রীরা নিরাপদে ও সহজে ওঠানামা করতে পারেন