যশোর প্রতিনিধি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধ করছি না, আমরা কাউকে উৎখাতের জন্য ওয়াদা করে নামেনি। একটি নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন হলে আমরা সেখানে অংশ নেবো। সেখানে প্রমাণ হবে কারা জনপ্রিয়।
তিনি আরো বলেন, সরকার ছায়া আতংকে ভুগছে। রাতের বেলায় দেয়ালে নিজের ছায়া দেখেও চিৎকার করে ওঠে। নাশকতা নাশকতা বলে চিৎকার করে। এর জন্য বিএনপি দায়ী না। এ ভয়ের কারণে আজও পঞ্চগড়ে এক বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর কত। হত্যা নির্যাতন করবেন আর বচন দেবেন তাতো হয় না।
আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় যশোর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপিতা নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আলাল আরো বলেন, ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। যত লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে তা দিয়ে দশটা পদ্মা সেতু করা যেত। আমরা এর বিরুদ্ধে কথা বলছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এখানে যে বাধা সৃষ্টি করবেন তিনি টিকতে পারবেন না। তিনি হারিয়ে যাবেন।
সমাবেশে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।উক্ত সমাবেশে বক্তারা গত ৭ই ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির দলীয় কার্যালয় পুলিশ কর্তৃক ভাংচুর এবং লুটপাট করার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়া বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মী বিভিন্ন কর্মসূচিতে শহীদ হয়েছে উল্লেখ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে খালেদা জিয়া, মির্জা ফকরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়া হয়।