উদ্ধার হওয়া নবজাতকটির স্থান হলো ছোটমণি নিবাসে

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে এক চায়ের দোকানের পেছনের ক্যারম বোর্ডের ওপর থেকে রাতে উদ্ধার হওয়া ফুটফুটে নবজাতকটিকে খুলনা ছোটমণি নিবাসে (বেবি হোম) পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে ওই নবজাতককে খুলনায় পাঠানো হয়।

সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে নবজাতকটিকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন সমাজসেবা অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবার প্রবেশন অফিসার মো. সোহেল পারভেজ, বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম, হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব প্রমুখ।

এর আগে গত রোববার দিবাগত রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর গ্রামের সাইদুলের চায়ের দোকানের ক্যারম বোর্ডের ওপর থেকে মেয়েশিশুটিকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুটফুটে শিশুটিকে দত্তক নিতে অনেক নিঃসন্তান দম্পতি আবেদন করেছেন।
শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতিমধ্যে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের কাছে ২৭ জন ব্যক্তি আবেদন করেছেন। শিশুকল্যাণ বোর্ড যাচাই-বাছাই করছে।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধারের পর থেকে আমাদের একজন নারী পুলিশ সদস্য সব সময় নবজাতকের পাশে ছিলেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী খুলনা শিশুনিবাসে পাঠানোর জন্য আমরা পুলিশ ফোর্স দিয়েছি।’
সমাজসেবা অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতিমধ্যে জেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের কাছে ২৭ জন ব্যক্তি আবেদন করেছেন। শিশুকল্যাণ বোর্ড যাচাই-বাছাই করছে। দত্তক দেওয়ার বিষয়টি একটু সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই আমরা শিশুটিকে খুলনা বিভাগীয় ছোটমণি নিবাসে পাঠিয়েছি। আপাতত নবজাতকটি সেখানে থাকবে।’

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের আবদুল হাকিম হাওলাদারের বাগান থেকে একটি ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করেন শাহ আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তী সময়ে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক শিক্ষক দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন।