ঢাকা অফিস: সব জল্পনা কল্পনার অবসান শেষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি পদে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরই পুনর্নির্বাচিত হলেন।
ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের নির্বাচিত করা হয়।
পৃথকভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার ও দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। পরে নতুন কমিটির বাকিদের নাম ঘোষণা করেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য: বেগম মতিয়া চৌধুরী; শেখ ফজলুল করিম সেলিম; কাজী জাফর উল্লাহ; ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন; পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য; নুরুল ইসলাম নাহিদ; ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক; লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান; শাজাহান খান; জাহাঙ্গীর কবির নানক; আব্দুর রহমান; এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন; মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম; অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম; সিমিন হোসেন রিমি ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: মাহবুবউল আলম হানিফ; ডা. দীপু মনি; ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
কোষাধ্যক্ষ: এইচ এন আশিকুর রহমান।
অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক: ওয়াসিকা আয়শা খান।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: ড. শাম্মী আহমেদ।
আইন বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক: ফরিদুন্নাহার লাইলী।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: ড. সেলিম মাহমুদ।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম।
দপ্তর সম্পাদক: ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: দেলোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: জাহানারা বেগম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: শামসুন নাহার চাঁপা
শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক: মো. সিদ্দিকুর রহমান
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: অসীম কুমার উকিল।
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক: ডা. রোকেয়া সুলতানা
সাংগঠনিক সম্পাদক: আহমদ হোসেন; বিএম মোজাম্মেল হক; আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন; এস এম কামাল হোসেন; মির্জা আজম; অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন; শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী।
উপ-দপ্তর সম্পাদক: সায়েম খান
এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্যদের নির্বাচিত করতে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় নির্বাচন করা হবে।
বিকালে কাউন্সিল অধিবেশনের আগে সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলরসহ ২৫ হাজার ডেলিগেট অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও যোগ দেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার টানা নবমবারের মতো শেখ হাসিনা সভাপতি আর দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।