যশোর প্রতিনিধি
অনুমোদন বিহীন ভূইফোড় প্রতিষ্মেঠানের নাম করে ফিজিওথেরাপির চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভিতরে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে, পুরুষ পেইন ওয়ার্ডে, মহিলা পেইন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে প্রতিবার ৩ শত টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কথিত ফিজিওথেরাপির নারী প্রতারক চক্র। তারা ব্যগঘাড়ে অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় এসে রোগীদের কাছে ফিজিওথেরাপির চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বেশিরভাগই নারী কর্মী। প্রতিনিয়তই এমন ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রোগী ও রোগীর স্বজনেরা।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।
শনিবার বিকালে ও রোববার সকালে এক রোগীর সাথে এমন একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এ চক্রের বেশি ভাগ নারী কর্মী।
এই চক্রের প্রতারনার শিকার হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার চুরামনকাটি ইউনিয়নের খিতিবদিয়া দিয়া গ্রামের জাহান আলীর ছেলে ফারুক হোসেন(৪০) নামে এক রোগী। তিনি গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে (সিভিডি) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার রেজিঃ (৬৪৬৮৯/৮১)।
ফারুক হোসেন জানান, তিনি শনিবার সকাল ১১ টার দিকে (সিভিডি) রোগে আক্রান্ত হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ব্যাগ ঘাড়ে এ্যপ্রোন পরিহিত এক নারী কর্মী ফিজিওথেরাপির চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বলে আপনার ফিজিওথেরাপি করাতে হবে। বলে তিনি বলেন আমরাই হাসপাতালের লোক ফিজিওথেরাপি করাতে আপনাকে ৩শ টাকা খরচ হবে। পরে ৩শ টাকা নিয়ে ফিজিওথেরাপি করিয়ে চলে যাই। রোববার সকাল সাতটার দিকে আবার এসে ফিজিওথেরাপি করতে যাই। আমি টাকা নেই বলে তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি তখন তিনি আমাকে শাহজালাল ফিজিওথেরাপি নামে একটা কার্ড দিয়ে যাই। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের লোক পরিচয় দেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য শাহজালাল ফিজিওথেরাপির মোবাইলে ফোন দেয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সেবা ফিজিওথেরাপ ির মালিক তানজিলা খাতুন বলেন ডাক্তার লিখলে আমরা হাসপাতালে যেয়ে করাবো পুলিশ সাংবাদিক ফাইল খুজে দেখে নেবে।
সোনালী ফিজিওথেরাপির মালিক সোনালী বলেন ডাক্তার লিখলে রোগীরা আমাদের ডাকলে আমরা হাসপাতালে যেয়ে করে আসবো।
নাজনীন ফিজিওথেরাপি মালিক নাজনিন আক্তার বলেন ডাক্তার লিখলে রোগীরা ডাকলে আমরা হাসপাতালে যেয়ে করে দিয়ে আসবো।
কিন্তু রোগী ও রোগের স্বজনেরা অভিযোগ করছেন ভিন্ন কথা ডাক্তার না লিখলেও তারা বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় ফিজিওথেরাপির ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীর সাথে প্রতারণা করে প্রতিবার ৩শ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যা সরকারি হাসপাতালে গরীব অসহায় রোগীদের সমার্থের বাইরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হোসাইন সাফায়েত বলেন এ ব্যাপারে আমরা অবগত আছি, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে, বর্তমানেও অভিযান চলমান রয়েছে। অনেক রোগীর চাপ থাকায় তারা যে কখন এসে এসব করে যায় আমাদের লোকজন খেয়াল রাখতে পারে না। হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকে বলে দেওয়া আছে, ফিজিওথেরাপি লোক পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।