আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ডেস্ক: ফিফার রেফারি তালিকাভুক্ত হয়েছেন যশোরের জসিম আখতার। ১৪ ডিসেম্বর তিনি এই সুখবরটি পেয়েছেন। দীর্ঘ ২৬ বছর পর খুলনা বিভাগ আরেকটি কৃতি সন্তানের দেখা পেলো। তার থেকেও বড় কথা তিনি ইতিহাস ঐতিহ্যের যশোরের সন্তান।
অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগে তার জন্মভূমি। তার পিতা মৃত হাজী সৈয়দ মোহাম্মদ আলী। বংশীয় ঘরের সন্তান তিনি। নিজ বংশ কে এগিয়ে নেয়ার আরেকটি উপাদান এখন তার কাছে।
সাতক্ষীরার তৈয়ব হাসান ছিলেন দক্ষিনাঞ্চলের শেষ ফিফা রেফারি। আর আজ দ্বিতীয় জন এসএম জসিম আখতার।
মানসম্মত রেফারির খোঁজে ‘ফিফা এমএ রেফারিং কোর্স’ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে হয় বাংলাদেশে। সেখানে ছিলেন এই এসএম জসিম আখতার। বাফুফে বাড়াতে চায় মানসম্মত রেফারির সংখ্যা। সেই উদ্দেশ্যে ফুটবল ফেডারেশন ভবনে শুরু হল ৫ দিনব্যাপী ‘ফিফা এম এ রেফারিং কোর্স’। ৩৫ জন রেফারি এতে অংশ নেয়। কোর্স সম্পন্ন হলে আগামীতে এশিয়া অঞ্চলে বাড়তে পারে বাংলাদেশি রেফারির সংখ্যা। এমনটাই সে সময় জানান বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।
এএফসি অঞ্চলে ফিফার শীর্ষ পর্যায়ের কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টরদের পরিচালনায় বাফুফে ভবনে হয়েছে ৫ দিনব্যাপী ‘ফিফা এমএ রেফারিং কোর্স’। কোর্সের প্রধান প্রশিক্ষক ফিফার টেকনিক্যাল ইন্সট্রাক্টর ইম ইয়াউ চিয়াং। রেফারিদের সংখ্যা বাড়াতে বাফুফের এই উদ্যোগ। এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি পুরানোরাও। কোর্স শেষ হবার পর সবাইকে দেয়া হয় সার্টিফিকেট।
বিভিন্ন কোর্স শেষ করার পর দুই বছর পর তৃতীয় থেকে দ্বিতীয়, দ্বিতীয় থেকে প্রথম এরপর কোয়ালিটি অর্জনের পর ফিফার তালিকা ভুক্ত হওয়ার বিষয়। এরপরও থাকে ভাগ্যের ব্যাপার স্যাপার। এমনি অনেক পর্ব ডিঙ্গিয়ে ফিফার তালিকা ভুক্ত হলেন এসএম জসিম আখতার।
সামনে আরো এগিয়ে যাওয়া এবং ফিফা ফুটবলে বাংলাদেশের রেফারি প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি বাঙালি রেফারি প্রতিনিধি হিসাবে এখন প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখার অপেক্ষায়। তার সেই অর্জনের দিকে তাকিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ।