আন্তর্জাতিক ক্রিয়া প্রতিবেদক: কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে বিশ্ব আসরে দুইবার ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিলো ক্যামেরুন। যেখানে দুইবারই পরাজিত দলের নাম ছিলো ক্যামেরুন। তবে মরুর বুকে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে আফ্রিকার দেশটি। তবে পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে থাকায় নকআউট পর্বের আগেই বিদায় নিতে হলো ভিনসেন্ট আবু বক্কর-ডেভিড ইপাসিদের।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই ক্যামেরুনের রক্ষণে শুরু থেকেই আক্রমণ চালিয়েছে ব্রাজিল। তবে বারবার আক্রমণ করেও পরাজিত হয় সেলেসাওরা। পুরো ম্যাচে ব্রাজিলের ২৮টির বেশি আক্রমণ বাঁধিয়ে দিয়েছে ক্যামেরুন। তবুও ম্যাচ ড্রয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলো।
কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়েই ম্যাজিক দেখায় ক্যামেরুন। ৯৩তম মিনিটে ব্রাজিলের ডি-বক্সে খোলা অবস্থানে ছিলেন আবু বকর। সেখানে হেড থেকে সুন্দর একটি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় পায় আফ্রিকার দেশটি।
তবে গ্রুপের অপর ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ড। সুইসরা ড্র করলেই গোল ব্যবধানে এগিয়ে শেষ ষোলোয় উঠে যেতে পারতো ক্যামেরুন। তবে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে সুইজারল্যান্ড। আর ক্যামেরুনের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।
ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলো ক্যামেরুন। তবে সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছিলো তারা। আর ২০১৪ বিশ্বকাপে ৪-১ গোলে ছারখার হয়ে গিয়েছিলো ক্যামেরুন। তবে অতীত পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো তারা।
এই জয়ে ২০০৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন কাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের ১৯ বছর পর জিতলো ক্যামেরুন। ফলে দুই দলের ৭ বারের দেখায় সেলেসাওদের ৫ জয়ের বিপরীতে জয়ের সংখ্যা ২’এ নিয়ে গেলো তারা।