ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকন্স শেষ বলের রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে। তবে দলের জয়ের এই দিনটা একেবারেই ভালো কাটেনি সাকিব আল হাসানের। বিশ্বের এক সময়ের সেরা অলরাউন্ডার হয়েও এ ম্যাচে তিনি ব্যাট–বল দুই বিভাগেই ছিলেন ব্যর্থ।
প্রথমে বোলিংয়ে নামেন সাকিব। নবম ওভারে বল হাতে আসার পর দ্বিতীয় বলেই চার হজম করেন তিনি। এরপর ব্র্যান্ডন কিং আরও চড়াও হন। সেই ওভারে ১২ রান দেন সাকিব।
পরের ওভারগুলোতেও তার বোলিংয়ে ছিল না আগের মতো ধার। একসময় তাকে মিতব্যয়ী মনে হলেও উইকেটশূন্য স্পেল শেষ করতে হয়। কিংয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সাকিবের বল ছিল অসহায়। পুরো ম্যাচে তিনি কোনো প্রভাবই রাখতে পারেননি। ৩ ওভার বল করে তিনি রান দিয়েছেন ৩৩। পরিস্থিতি দেখে তাকে আর কোটার ৪ ওভারও শেষ করাননি অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম।
ব্যাট হাতে পরিস্থিতি ছিল আরও খারাপ। দলের চাপের মুখে ক্রিজে এসেছিলেন তিনি, তবে দায়িত্ব নিতে পারেননি সাকিব। খেলেন মাত্র ১২ বল, করেন ১৫ রান। তার ব্যাট থেকে আসে একটি ছক্কা ও একটি চার। বড় শট খেলতে গিয়ে ফেরেন সাজঘরে। ইথান বশের বলে ডিপে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন শেরফান রাদারফোর্টকে।
দলের জয়ে শেষ পর্যন্ত নায়ক হয়েছেন অন্যরা, কিন্তু সাকিব ছিলেন যেন বোঝা। তার ব্যাটিং ব্যর্থতায় অ্যান্টিগার মাঝপথে চাপে পড়ে। বোলিংয়েও তিনি দলের জন্য সঠিক অবদান রাখতে পারেননি। ম্যাচ শেষে তাই আলোচনায় ছিল অ্যান্টিগার জয় নয়, বরং সাকিবের ব্যর্থতা।
এদিন বার্বাডোসের ইনিংসে কিং একাই ঝড় তোলেন। অপরাজিত ৯৮ রানে সাজান নিজের ইনিংস, যা সাকিবদের জন্য ছিল দুঃস্বপ্নের মতো।
তবে সাকিব ব্যর্থ হলেও ফ্যালকনসকে পথ দেখান আন্দ্রিস গুস। ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে মার্কিন এই ব্যাটারই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।