বিশেষ প্রতিনিধি
মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভিতরে করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে থেকে একটি ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধির মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার ৩দিন পর থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার যে কোন চুরির বিষয়গুলো দিনের দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার তদন্তর নামে রেখে দিয়ে ঘটনার ৩দিন আবার কখনও এক মাস পরও মামলা রেকর্ড হয়। এর মধ্যে চোরেরা চুরি করা মালামাল এক জেলা থেকে অন্য জেলায় অনায়াসে নিয়ে যাবার সুযোগ পায়। দেরি হওয়ার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চুরি হওয়া এলাকার থানার অফিসার ইনচার্জকে জেলায় মাসিক আইনশৃঙখলা বিষয়ক সভায় চুরি বিষয়গুলো জবাবদিহি করা হয় তাই তদন্তর নামে কৌশলে ফাইল বন্দি করে রাখা হয়। যা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে মামলা রেকর্ড করার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়।
মাগুরা জেলার শালিখা থানার নাঘোসা গ্রামের বর্তমানে যশোর শেখহাটি বাবলাতলা গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল হোসেন বিশ^াসের ছেলে মনিরুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন,তিনি একটি ঔষধ কোম্পানীর সিনিয়র মেডিকেল প্রমোশন অফিসার পদে চাকুরী করেন। কোম্পানীর একটি ডিস কভার ১১০ সিসি মোটর সাইকেল যার নং ( ঢাকা মেট্টো হ-৬৫-৩৬৬৮)। তিনি কোম্পানীর কাজে ব্যবহার করে আসছে। গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ৭ টা ২০ মিনিটে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে মোটর সাইকেলখানা রেখে ঘাড়ে লক লাগিয়ে বাইরে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার ভিজিট করতে যান। ভিজিট শেষে সন্ধ্যা ৭ টা ৫০ মিনিটের সময় করোনারী কেয়ার ইউনিটের সামনে এসে দেখেন তার রাখা মোটর সাইকেলটি নেই। সংঘবদ্ধ চোরেরা চুরি করে সটকে পড়ে। তিনি বিষয়টি কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার, কলিকসহ কোম্পানীর আরো অনেককে জানিয়ে হাসপাতালের আশেপাশেসহ যশোর শহরের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ওই রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ তদন্তর নামে অভিযোগ নামা ফেলে রাখে। পরবর্তীতে মামলার বাদি খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন পরের দিন চুরি মামলা হয়নি। ২৯ অক্টোবর রাতে চুরি মামলা হয়েছে। তবে চুরির সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার কিংবা চুরি যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি। খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,চুরি হওয়ার সাথে সাথে থানায় জানালেও থানা পুলিশ তদন্তর নামে ওই অভিযোগ রেখে একজন অফিসারকে তদন্তর নামে পরের দিন দায়িত্ব দেন। ওই অফিসার তদন্তর সুযোগ হলে বিষয়টি দেখতে যান কখনও কখনও আবার সময় না হলে এসআইয়ের ফাইলে বন্দি হয়ে পড়েন। তারপর বাদি নক করলে মামলা হিসেবে রের্কড হন। আরো খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় এ ধরনের চুরির অভিযোগ তদন্তর নামে পড়ে থাকেন। তারপর বাদি তদ্বীর করলে মামলা হন। আর তদ্বীর না করলে তদন্তর নামে প্রাথমিক তদন্তকারীর ফাইলে পড়ে থাকেন মাসের পর মাস। বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যশোরের সব পেশার মানুষ।