স্টাফ রিপোর্টার:
আজ ২৫ আগস্ট রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে যশোরের কয়েকটি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে যশোর-৪ আসনের আওতাধীন সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নকে যশোর-৩ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার ভবদহ সংশ্লিষ্ট কিছু ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৬ আসন গঠনের দুটি আবেদনের ওপর আলোচনা হয়। প্রথম আবেদনটি করেন বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান এবং দ্বিতীয়টি করেন সুকৃতি মণ্ডল।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামানের আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়, যেখানে বসুন্দিয়া ইউনিয়নকে সদর আসন যশোর-৩ এর সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়। এর বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন যশোর-৪ আসনের বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলার মেলবন্ধন; এটিকে সদরের সঙ্গে যুক্ত করলে বাঘারপাড়া সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং নতুন আসন গঠনের প্রয়োজন দেখা দেবে। এছাড়া অভয়নগরকে বাঘারপাড়া থেকে আলাদা করে মনিরামপুর ও কেশবপুরের কিছু ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৬ আসন গঠনের প্রস্তাব সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয়।
বক্তব্যে বলা হয়, যশোর-৪ আসনের বর্তমান এলাকা—বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়ার সমন্বয়ে পূর্বের সীমানা অপরিবর্তিত রাখা উচিত। তবে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ভবদহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলকে যশোর-৪, ৫ অথবা ৬ এর যেকোনো একটি আসনে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এতে একজন সংসদ সদস্য দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যশোরের দীর্ঘদিনের ভবদহ সংকট সমাধান করতে পারবেন। কমিশনার ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বক্তব্যগুলো লিপিবদ্ধ করেন। এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন, যশোর-৪সহ সব নির্বাচনী আসনের সীমানা অপরিবর্তিত থাকবে।