যশোর অফিস
যশোর শহরের যশোর সার্কিট হাউজ পাড়ার একই বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে তিন যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন ওই পাড়ার সরফরাজ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কবিরুল ইসলামের স্ত্রী জুলিয়া খাতুন (৩১)।
গণপিটুনির শিকার তিন যুবক হলো, খুলনার রুপসা থানার বাগমারা গ্রামের শাহাদৎ শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি (২৪), জুয়েল শেখের ছেলে পান্না রহমান বাপ্পি (৩০) এবং কিসমত খোড়া বটতলা সোবহানের ছেলে ইসলাম মোল্লা ওরফে জুম্মান খান (২২)। আটককৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুলনা জেলার বিভিন্ন থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একাধিক মামলা আছে।
জুলিয়া খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে। তিনি যশোর শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার সরফারাজ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার স্বামী চাকরি সূত্রে চুয়াডাঙ্গায় থাকেন। তিনি তার এক মাত্র ছেলেকে নিয়ে ওই বাসায় থাকেন। গত ১৩ আগস্ট ছেলে ইমনকে (১৩) জিলা স্কুল থেকে বাড়িতে আনার জন্য ঘরে তালা মেরে যান। বেলা ২টার দিকে বাড়িতে ফিরে দেখেন বাইরে থেকে তালা ভাঙ্গা। ঘরের মধ্যে তিন জন যুবক রয়েছে। সে সময় তিনি ও তার ছেলে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লোকজন তাদের আটক করে এবং গণপিটুনি দেয়। তারা চুরির জন্য তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেছিলো বলে স্বীকার করে।
ওই গৃহবধূ আরো জানিয়েছেন, গত ১৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ছেলেকে সাথে নিয়ে কলারোয়ায় যান ঘরে তালা মেরে। ১৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন ঘরের মধ্যে রাখা জিনিসপত্র তছনছ করা। বাইরের গ্রিল ও থাই গ্লাস ভাঙ্গা। ঘরের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসেট ও সোনার গহনা চুরি করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত চোর বা চোরচক্র। যার মূল্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা। তার ধারনা আসামিরা ওই সময় তার বাড়ি থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। ফের তার বাড়িতে এসে চুরির চেষ্টা করছিল।
কোতয়ালি থানার এসআই ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার আদালাতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই তিনজন চিহ্নিত চোর। আসামি জুম্মান খানের খুলনার রুপসা, খালিশপুর, হরিণটানা, সোনাডাঙ্গা, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, বাগেরহাটের কচুয়া থানায় মোট ১২টি মামলা আছে। আসামি পান্না রহমান বাপ্পির বিরুদ্ধে খুলনার বটিয়াঘাটা ও দৌলতপুর থানায় দুইটি মামলা এবং আসামি খুলনার সোনাডাঙ্গা, রুপসা, হরিণটানা, খালিশপুর, বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় মোট ৮টি মামলা আছে।