পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৭ জনে

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক: স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। এবারের বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৭ জনে। দুর্যোগকবলিত এলাকার তিন লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বৃহস্পতিবার একে জলবায়ু সংকট উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জাতীয় জরুরি’ অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকারের প্রয়োজন ৭২ বিলিয়ন রুপি। সাহায্যের জন্য দেশটি ইতোমধ্যে দাতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির জেরে সৃষ্ট বন্যায় পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ৯৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৩ জন শিশু। এছাড়া বন্যায় বাড়ি-ঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন অন্তত তিন কোটি মানুষ।

জানা গেছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশটিতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা সিন্ধু প্রদেশে। এখানে ১৪ জুনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বন্যা ও ভারী বৃষ্টিতে ৩০৬ জন মারা গেছেন। বেলুচিস্তানে মারা গেছেন ২৩৪ জন। খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাব প্রদেশে মারা গেছেন যথাক্রমে ১৮৫ ও ১৬৫ জন। এ ছাড়া আজাদ কাশ্মীরে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। চলমান বর্ষার বৃষ্টিতে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে ইসলামাবাদে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে একজনের।

এনডিএমএ’র তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানে আগস্ট মাসে ১৬৬.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বছরের এই সময়টিতে সেখানে গড়ে ৪৮ মিমি বৃষ্টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ চলতি আগস্ট মাসে দেশটিতে বৃষ্টিপাত ২৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রেহমান জানিয়েছেন, দেশটিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ইতোমধ্যে ‌ওয়ার রুম স্থাপন করা হয়েছে। তিনি জানান, অবিরাম আগ্রাসী ও ভারী বৃষ্টিপাত ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন করে তুলেছে। এমনকি হেলিকপ্টারে করে বন্যাদুর্গত এলাকায় যাওয়াও মুশকিল হয়ে উঠেছে।