যশোর অফিস
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ফের আটক হয়েছেন শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর উদ্দীন তোতা। পুলিশ বলছে, তাকে চঁাচড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্বজনদের দাবি, জেলগেট থেকেই তাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে মঙ্গলবার শার্শার ব্যবসায়ী রিজাউল ইসলাম বাদী হয়ে তোতাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় চঁাদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার দুপুরে তোতাকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, শার্শার টিএন্ডটি অফিস এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদ, উত্তর বুরুজ বাগানের সোহরাব হোসেন, জাকির হোসেন, শ্যামলাগাছির শফিকুল ইসলাম মন্টু ও রফিকুল ইসলাম, চটকাপোতা গ্রামের তোতা ওরফে চাকমা তোতা।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার শার্শা বাজারে দোকান রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চেয়ারম্যান তোতার নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা বাদীসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীকে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ডেকে এনে বলেন, বাজারে ব্যবসা করতে হলে প্রত্যেককে পঁাচ লাখ টাকা করে চঁাদা দিতে হবে। অন্যথায় ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। বাধ্য হয়ে বাদী তিন লাখ টাকা, মুদি দোকানদার লিটন শেখ দেড় লাখ টাকা, ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চার লাখ, শরীফ দেড় লাখ, ইব্রাহিম এক লাখ, আইনাল এক লাখ ৮৫ হাজার টাকা এভাবে সর্বমোট ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চঁাদা দেন তোতাকে। তবে সে সময় আসামিদের ভয়ে বাদী প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় তিনি শার্শা থানায় মামলা করেন।