যশোর নওয়াপাড়ায় ব্যবসায়ী জনির বিরুদ্ধে সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Share

যশোর অফিস 
যশোরের নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনির বোন মানি জারমিন ইলোরা।
তিনি অভিযোগ করেন,একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে তার ভাই ও নওয়াপাড়ার বেশ কয়েকজন সুনামধন্য ব্যক্তিকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ‘ব্যবসায়ীকে বুকসমান বালুতে পুঁতে নির্যাতন ও ৪ কোটি টাকা আদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন তিনি।
বক্তব্যে তিনি জানান,এসব সংবাদের উৎস ছিলেন জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহনেওয়াজ কবীর টিপুর স্ত্রী আসমা বেগম। অথচ শাহনেওয়াজ কবীর টিপু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৭০ জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গম সরবরাহের নামে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সার ও খাদ্যশস্য ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠকে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, টিপুর সঙ্গে জনি এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়িক লেনদেন থাকলেও কোনো অপহরণ, জোরপূর্বক টাকা আদায় বা বালুতে পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেনি। বরং দেনা পরিশোধে চুক্তি করেও টিপু মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা দিয়ে জনি ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণের চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নওয়াপাড়া কণা ইকোপার্ক, যেখানে কথিত ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে, সেটি জনির পিতার জমিতে স্থাপিত এবং সেখানে এমন ঘটনা ঘটার প্রশ্নই আসে না। এ সময় সার সমিতির বৈঠকের রেজুলেশন, টিপুর স্বাক্ষরিত পাওনার স্বীকারোক্তি ও ব্যাংক লেনদেনের নথি প্রদর্শন করা হয়।
বক্তব্যে বলা হয়, আসাদুজ্জামান জনি দীর্ঘদিন ধরে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সক্রিয় নেতা এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। তার রাজনৈতিক উত্থান ঠেকাতে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে সঠিক সংবাদ প্রকাশ এবং জনি এন্টারপ্রাইজের সুনাম ও ব্যবসায়িক ক্ষতি পূরণে সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জনির স্ত্রী সোনিয়া জামান ও মা রেহানা জামান উপস্থিত ছিলেন।

Read more