ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আগাবেকিয়ান শাহিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আগে আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় ইজরায়েলের গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে হবে।
শাহিন বলেন, গত ২২ মাস ধরে ফিলিস্তিনে চলা পরিস্থিতি গণহত্যার পরিচায়ক এবং এটি ইজরায়েলের সম্প্রসারণবাদী নীতির অংশ।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক আইনের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
ইজরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যা প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ গাজায় বিতাড়িত করবে।
ফিলিস্তিনি নেতারা এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এটি গাজার মানবিক সংকট আরও জটিল করবে এবং আরও প্রাণহানি ঘটাবে।
ইজরায়েল বলেছে, তারা হামাসের হাত থেকে গাজাকে মুক্ত করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করেনি, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, গাজা দখল ঠেকাবেন না।
আগাবেকিয়ান শাহিন বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন অপরিহার্য।
তিনি নেতানিয়াহুর গাজার শাসন নিয়ে মন্তব্যের জবাবে বলেন, গাজার শাসন কার হাতে থাকবে তা ফিলিস্তিনিদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়। বর্তমানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) এখানকার বৈধ কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি হামলা ও বসতি স্থাপনকারীদের নৃশংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতারও সমালোচনা করেন শাহিন।
তিনি বলেন, অব্যাহত নীরবতা ইসরায়েলকে ক্ষমতাশালী করেছে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব নেওয়ার সময় হয়েছে।