যশোর প্রতিনিধি
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) যশোর কর্তৃক নড়াইল জেলার সদর উপজেলার নিখোঁজ সাধারণ ডাইরীমূলে অপহৃত ভিকটিম আরাফাত আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। শিশু খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই শিশুকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের তৌহিদুর রহমানের ছেলে নাবিল ও একই গ্রামের সাহিদুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন। এ সময় শিশু নাবিলের হেফাজত থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর নেতৃত্বে এসআই ¯েœহাশিস দাশ, এসআই ডিএম নূর জামালসহ যশোর জেলার একটি চৌকসদল মঙ্গলবার ১৫ মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টার পর নাবিল ও মিলন হোসেনকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গত ১২ মার্চ সকাল ৯ টায় নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের ওবাইদুর রহমান শিকদার এর ছেলে আরাফাত আলী (১১) মাদ্রাসার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়। সে পেড়লী দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র। বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকাল ৩ টা বেজে গেলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় শিশুর পিতাসহ নিকট আত্মীয় স্বজনেরা খোঁজাখুজির এক পর্যায় না পেয়ে নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডাইরীভূক্ত করেন। যার নং ৫২৩,তারিখঃ ১২/৩/২২ ইং। পরের দিন ১৩মার্চ সকালে নিখোঁজ শিশুর বড় ভাই মহব্বত আলীর এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একটি মোবাইল নাম্বার থেকে তুই বড় এটকা জিনিস হারতে চলেছিস লিখা মেসেজ আসে। ১৪ মার্চ আরাফাতের পরিবারের সদস্যরা সাধারণ ডাইরীর কপি নিয়ে পুলিশ সুপার পিবিআই যশোর কাছে আবেদন জানান। পিবিআই আবেদন আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানের এক পর্যায় মঙ্গলবার ১৫ মার্চ ভোর রাত ৫ টা ৪০ মিনিটে নাবিল ও মিলন হোসেনকে তাদের বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় নড়াইল সদর থানার বোড়ামারা গ্রামের জনৈক মাহাবুব এর বাঁশবাগান হতে শিশু আরাফাত আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। আরাফাত আলীর পিতা ওবাইদুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার ১৫মার্চ নড়াইল সদর থানায় শিশু নাবিল ও যুবক মিলনকে আসামী করে হত্যা মামলাসহ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং ১৬ তারিখ ১৫/০৩/২২ ইং। উক্ত মামলাটি পিবিআই যশোর জেলা স্ব- উদ্যোগে গ্রহন করে মামলার তদন্তভার এসআই ¯েœহাশিস দাসকে অর্পন করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে জানান,গত ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় শিশু নাবিল ও মিলন হোসেন কাঠাল চুরির কথা বলে আরাফাত আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে তাদের বাড়ির উত্তর পশ্চিম পাশের্^ জনৈক মাহাবুব এর বাঁশবাগানে নিয়ে হত্যা করে। এবং শিশু আরাফাত আলীর মৃত দেহ বাঁশ বাগানের মধ্যে বাঁশের পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানায়।#