যশোর প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় সাগরিকা খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর কে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে,এমন অভিযোগ করেছে গৃহবধূর পিতা শরিফুল ইসলাম।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ও ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ চৌগাছা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের খোকন হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার মাড়ুয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে।
নিহত গৃহবধূ সাগরিকা খাতুন এর পিতা হাসপাতলে অভিযোগ করে বলেন গত তিন বছর আগে খোকনের সাথে আমার মেয়ে সাগরিকা কে বিবাহ দেয়। বিভিন্ন সময় যৌতুক বাবদ ৭০ হাজার টাকা মালামাল দেই।
গত দুই বছর যাবত ২ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে আসছিল এই যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় সাগরিকাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক-মনসিক নির্যাতন করতো স্বামী খোকন। এইসব নিয়ে গত পাঁচ মাস আগে আমার মেয়েকে আমাদের বাড়িতে এনে রাখছিলাম মেয়ে পাঠাবো না এই মর্মে।
এরপর দুই পক্ষের মীমাংসার মাধ্যমে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই,এরপরে আর আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না।
শুক্রবার দিবাগত ভোর তিনটার দিকে খোকনের বোন রুপালি খাতুন আমাকে ফোন দিয়ে বলে সাগরিকা মারা গেছে, পার লাশ এখন যশোর জেনারেল হাসপাতলে আছে। কি করে মারা গেল আমি জানতে চেয়েছিলাম তখন রুপালি খাতুন আমাকে বলল শুক্রবার রাত আটটার দিকে স্বামীর বাড়িতে বিষ খেয়েছে,পরে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতলে গৃহবধূ সাগরিকার লাশ ফেলে স্বামী ও তার পরিবার পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত খোকনের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
কতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক বলেন এই মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করে দেয়া হবে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে জানা যাবে যে একটা হত্যা না বিষপানে আত্মহত্যা।