বিশেষ প্রতিনিধি
প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য ভেবে মাহমুদুল হাসান (২৫) নামে এক যুবককে রেল রোডস্থ জনৈক আব্দুর রশিদ এর পাখির দোকানের সামনে পেয়ে গতিরোধ করে গালিগালাজের এক পর্যায় আক্রমন চালিয়ে নগদ ৫৫ হাজার ৬শ’ ৫০ টাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলাটি করেছেন শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া সার গোডাউন মোড়ের মৃত কাওছার আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,শহরের ষষ্টিতলা রেলরোড পাখিপট্টি আব্দুর রশিদের ছেলে রুবেল,মামুন, হাসানের ছেলে রুপম,দুলালের ছেলে সাদ্দাম,টেগা ও সুলতান কসাইয়ের ছেলে মোঃ রানাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বিল্লাল হোসেন বলেন, আসামীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক,তারা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডসহ খুন খারাবী করে বেড়ায়। রেল বাজারে বাদীর চাউলের আড়ত রয়েছে। আসামীদের সাথে এলাকায় অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব হয়। গত ২৬ জানুয়ারী বাদি অসুস্থ্য থাকায় বাদির ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসানকে ব্যবসায়ীক টাকা কালেকশনের জন্য পাঠাই। ওই দিন রাত ৮ টায় মাহমুদুল হাসান দোকানের টাকা কালেকশন করে ফেরার পথে রেল রোডস্থ আব্দুর রশিদ এর পাখির দোকানের সামনে পৌছালে আসামীরা তাদের বিপরীত দলের লোকের সাথে জড়িত ভেবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাহাদের হাতে ধারালো রামদা,চাকু, লোহার রড,বাঁশে লাঠি ও লোহার এ্যাঙ্গেল উক্ত স্থানে এসে মাহমুদুল হাসানের পথের গতিরোধ করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মাহমুদুল হাসান আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করে এবং সে কোন গ্রুপের সাথে জড়িত নাই বলে জেনে সত্বেও রুবেলের হুকুমে সকল আসামীরা একযোগে মাহমুদুল হাসানকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নীলাফোল জখম করে। রুবেলের হাতে থাকা লোহার এ্যাঙ্গেল দিয়ে মাহমুদুল হাসানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কয়েকটি আঘাত করে। মাহমুদুল হাসান মাটিতে পড়ে গেলে তার প্যান্টের পকেটে থাকা কালেকশনের নগদ ৫৫ হাজার ৬শ’ ৫০ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন কেড়ে নেয়। স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পরে খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় মাহমুদুল হাসানকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসানের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন।