যশোর প্রতিনিধি
বিজিবি’তে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাকী টাকার জন্য নানা কৌশল করার সময় স্থানীয় জনগনের সহায়তায় আকবর আলী নামে এক প্রতারককে ধরে গণ পিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলশী গ্রামের নুর আলী মোল্যা ছেলে। এ সময় তার সহযোগী যশোরের চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে পারভেজ হোসেন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় বৃহস্পতিবার বিকালে মামলা হয়েছে।
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর গামের সাঙ-বাগোয়ান গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে প্রতারক গ্রেফতারকৃত আকবর আলী ও পলাতক পারভেজ হোসেনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, প্রতারক দু’জনের সাথে বাদির ছেলে জাসিম খানের পূর্ব পরিচিত। বাদির ছেলে জাসিম খানকে বিজিবিতে চাকুরি দিবে বলে বাদির সাথে ১৫লাখ টাকায় চুক্তি হয়। গত ২ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় যশোর শহরতলী পালবাড়ী মোড়ে বাদি উপস্থিত হয়ে আসামী দু’জনকে ৫লাখ টাকা প্রদান করে। বাকী ১০ লাখ টাকা বাদির ছেলে জাসিম খানের চাকুরী হওয়ার পর দিবে বলে আসামীদের কাছে বাদির ছেলের চাকুরী হওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,বাদি ও বাদির স্ত্রীর এনআইডি কার্ডসহ বাদির স্ত্রীর নামে মুজিবনগর শাখার রুপালী ব্যাংক লিঃ এর দু’টি সাক্ষরিত ব্লাইং চেক প্রদান করে। এছাড়া,আসামীদ্বয় একশ’ টাকার নন জুডিসিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে বাদির ছেলে সাক্ষর করে নেয়। পরবর্তীতে আসামীদ্বয় বাদিকে জানায় বাকী টাকা না দিলে চাকুরী হবে না। তখন আসামীদ্বয়ের সাথে চুক্তি মোতাবেক বাকী টাকা দেওয়ার জন্য বাদিসহ বাদির ছেলে জাসিম খান,ছোট ভাই শাফিক খঅন, বাদির চাচা মুজিবর রহমান,বোন জামাই আব্দুল খালেক খান গন ২০ জানুয়ারী বেলা ১০ টায় যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি বাবলাতলা মোড়ে জনৈক জান এর হার্ডওয়ার দোকানের সামনে অবস্থানকালে চাকুরি বিষয় আসামীদের সাথে বাদিসহ তার লোকজনের কথা বার্তা বলায় তাদেরকে সন্দেহ হয় এবং প্রতারক মনে হলে স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের লোকজন এসে আকবার আলীকেকে হাতেনাতে আটক করে। এই কৌশল নিয়ে তার সহযোগী আসামী পারভেজ হোসেন পালিয়ে যায়। জনগনের হাতে গ্রেফতারকৃত আকবার আলী পিটুনীর ফলে স্বীকার করে সে ও তার সহযোগী পলাতক আসামী মিলে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে লোকজনদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামী আকবার আলী প্রতারক হওয়ায় স্থানীয় জনগনের সহায়তায় থানায় সংবাদ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।#