যশোর প্রতিনিধি
যশোর কেশবপুরের ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভান্ডার খোলা বাজারে ইউসুফ খাঁ ও আবুল কাশেমসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার ফতেপুর গ্রামের মৃত জাহা বক্স মোড়লের ছেলে আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করার আদেশ দিয়েছেন কেশবপুর থানার ওসিকে।
আসামিরা হলো কেশবপুরের হাড়িয়া ঘোপ গ্রামের ইমান আলী বিশ্বাসের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন, আব্দুল জলিলের ছেলে রবিউল ইষলাম, দৌলত বিশ্বাসের ছেলে শরিফুল ইসলাম, ইমান আলী বিশ্বাসের ছেলে ইউসুফ, হাফিজুর রহমানের ছেলে হাবিবুল্লাহ, মনছোপ মোড়লের ছেলে শিমুল, ইউনুচ বিশ্বাসের ছেলে সাদ্দাম ডাকাত, ফতেপুর গ্রামের আবুল শেখের ছেলে আসাদ, মৃত লুৎফর খাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর, আমিনুর শেখের ছেলে বিপ্লব, আবুল শেখের ছেলে মফিদুল, মোমিনুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান, কওছার শেখের ছেলে সেলিম, ভান্ডার খোলা গ্রামের জওয়াব আলীল ছেলে রাসেল, ছামাদ মোড়লের ছেলে বিল্লাল, আবু বক্কারের ছেলে আছির, মহব্বতের ছেলে সিদ্দিক, পরচক্রা গামের নুরালী গাজীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, ইয়াদ আলীর বিশ্বাসের ছেলে জাকির, মৃত তারিপ মোড়লের ছেলে আজাদ, সাউশালা গ্রামের সোনাই মোড়লের ছেলে সামিদ, সামছুর রহমানের ছেলে ওবায়দুর রহমান, মৃত মোজাম মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম, ইনছার আলী সরদারের ছেলে হাফিজুর, হিজল ডাঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাসুম, লুৎফর রহমানের ছেলে হাবিবুর, খোবদই গ্রামের ইসমাইল মোড়লের ছেলে আনিছুর রহমান, মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আনিছ, আনছার মোড়লের ছেলে আমজাদ হোসেন, আমিনুর রহমান, মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আজিজ, মৃত আব্দুল খালেক মোড়লের ছেলে আলামিন, কালিয়ারই গ্রামের মতলেব শেখের ছেলে সালাম ও বিদ্যান্দকাটি গ্রামের মৃত মিয়াজান দফতরীর ছেলে নজরুল ওরফে ঘোড়া নজরুল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গত ৫ জানুয়ারির ইউনিয়ন নির্বাচনে মামলার বাদী আব্দুল মান্নান, ইউসুফ খাঁ ও আবুল কাশেম আনারস প্রতিকের প্রার্থী আমজাদ হোসেনের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামি ইব্রাহিম ও রবিউলের নেতৃত্বে আসামিরা ভান্ডার খোলা বাজারে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ত্রাস করে। এরমধ্যে আসামিরা মামলার বাদী আব্দুল মান্না, ইউসুফ খাঁ ও আবুল কাশেমকে ধরে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। চিৎকারে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চয়ে যায়। আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করে। পরে তাদের খুলনা মেডিকেলে ভর্তি কর হয়। চিকিৎসা শেষে আব্দুল মান্নান বাড়ি ফিরে আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন