বিশেষ প্রতিনিধি
সীমান্তবর্তী শার্শা উপজেলার উলাশী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও চাউলের আড়ত ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেনকে ঘড়ির ব্যবসায় অধিক লাভের প্রলোভন দিয়ে দুই প্রতারক নগদ ১৭লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় প্রতারক দু’জনের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে। আসামীরা হচ্ছে, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার রংপুর গ্রামের মৃত শেখ চান মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া উপজেলার নিলফা (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত ফরিদ মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,গত ১২ জানুয়ারী উলাশী বাজারে তার চাউলের আড়তে বসে থাকা অবস্থায় দুপুর ১২ টার সময় প্রতারক নুরুল ইসলাম ও কামরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন এসে জানায় তারা সরকারি খান খননের ঠিকাদারী পেয়েছে। তাদের সাথে ভাল মন্দ জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রতারকদ্বয় বাদিকে তাদের সহযোগী হিসাবে নিতে চায়। বাদি তাদের সরলতায় বিশ^াস করে তাদের সহযোগীতা করার সম্মতি প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে যশোর চাঁচড়া এলাকায় প্রতারকদের ভাড়া বাড়ির মালিক জনৈক তারেক এর বাড়িতে বাদিকে নিয়ে যায়। প্রতারকের ভাড়া বাসায় বাদি কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম বাদিকে জানায় তারা বিদেশী ঘড়ির ব্যবসা করে এবং অজ্ঞাতনামা ১জন বাদির সাথে হিন্দি ভাষায় কথা বলে। নুরুল ইসলাম বাদিকে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিলে বাদিকে তাদের পার্টনারশীপ ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয় এবং ১০ পিস বিদেশী ঘড়ি বাদিকে দেখিয়ে কোরআন শরীফে হাত দিয়ে শপথ করিয়ে বিশ^াস স্থাপন করে। তখন বাদি সরল বিশ^াসে প্রতারকদের প্রস্তাবে রাজী হয়। প্রতারক নুরুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম ঘড়ির ব্যবসায়ীক পার্টনার হওয়ার জন্য বাদিকে ২০লাখ টাকা দিতে বলে। বাদি তাদের কথা মতো গত ২০ জানুয়ারী সকাল ১১ টার সময় চাঁচড়া এলাকার জনৈক তারেক এর বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া উক্ত প্রতারকদের ফ্লাটে হাজির হয়ে স্বাক্ষীদের সামনে নুরুল ইসলামকে ১২লাখ টাকা ও কামরুল ইসলামকে ৫লাখ টাকা সর্বমোট ১৭ লাখ টাকা দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরের দিন ২১ জানুয়ারী দুপুর অনুমান ১২ টার সময় প্রতারকদের ভাড়া বাসায় গিয়ে বাদি দেখেন তারা কেউ নেই। উক্ত ভাড়া বাসার ফ্লাটে তালা ঝুলছে। বাদি তখন তাদের মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তাও বন্ধ পান। পরে বাদি বুঝতে পারেন প্রতারকদ্বয় পরস্পর যোগসাজসে ঘড়ির ব্যবসার কথা বলে সরল বিশ^াস ভঙ্গ করে বাদির কাছ থেকে ১৭লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন। পরে বাদি উপায়ন্তর না পেয়ে প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতারক কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।#