যশোর প্রতিনিধি
সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাতনী ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেশী ও মর্যাদাহানিকর বক্তব্য দেয়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসনসহ দুই জনকে আসামি করে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার যশোর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ গফুর বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহন করে আইনগত বিষয়ে শুনানীর জন্য আগমি ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান।
আসামিরার হলো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি ও চট্টগ্রাম হালিশহরের কে ব্লকের ৩ নম্বর লেনের ১১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল ওরফে নাহিদ হেলাল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ব্যারিস্টার জাইমা রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমন ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাতনী এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকের রহমানের মেয়ে। জাইমা লিংকন ইন থেকে ব্যারিস্টার এট-ল ডিগ্রি অর্জন করে যুক্ত রাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
আসামি ডাক্তার মুরাদ হাসান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও নাহিদ হেলাল মিডিয়া উপস্থাপক। গত ১ ডিসেম্বর নাহিদ হেলাল প্রতিন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহন করেন। যা বরবর্তীতে ডাক্তার মুরারদ হাসান তার ফেসবুকে প্রকাশ ও প্রচার করেন। সাক্ষাৎকার প্রদানকালে ডাক্তার মুরাদ হাসান উদ্দ্যেমুলকভাবে জিয়া পরিবার ও ব্যরিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেশী ও যে কোন নারীর জন্য মর্যদা হানিকর ভাষা ব্যবহার করেন। আসামিরা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা , ঘূণা, বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্ঠি করেছেন। ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশংকা রয়েছে। আসামিরা এ সাক্ষাৎকার পরবর্তীতে ফেজবুকে প্রকাশ ও প্রচার করে জিয়া পরিবারের কনিষ্ট সদস্য জাইমা রহমান এবং নারী সমাজের প্রতি অবমানাকর ও অপমানজনক হওয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।