যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া গ্রামে গৃহবধু রিক্তা দেবনাথকে (৪০) আতœহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত গৃহবধুর ভাই ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের কৃষ্ণপদ বিশ^াসের ছেলে কমল দেবনাথ (৪৭) বাদি হয়ে রোববার ৭ নভেম্বর মামলা করেন। মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে যশোর সদরের বসুন্দিয়া গ্রামের মৃত নগেন্দ্র দেবনাথের ছেলে গোবিন্দ দেবনাথ (৪৫), গৌরনাথ দেবনাথ ওরফে বাবু (৫৫) ও গৌরনাথ দেবনাথ ওরফে বাবুর স্ত্রী গীতা রানি দেবনাথ (৪৮)।
মামলায় বাদি কমল দেবনাথ উল্লেখ করেছেন, ২২ বছর আগে হিন্দু ধর্মীয় বিধান মতে আসামি গোবিন্দ দেবনাথের সাথে রিক্তা দেবনাথের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুইটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। ছেলে সাগরের বয়স (২০) ও মেয়ে বন্যার বয়স (১৬)। আসামি গোবিন্দ দেবনাথের স্বভাব চরিত্র ভালো না। স্ত্রী রিক্তার সাথে র্দুব্যবহার করতো। ঠিকমত ভরন পোষন দিতো না। ভরন পোষন চাইলে রিক্তার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাতো। আসামি গোবিন্দ দেবনাথের পক্ষ নিয়ে অন্য আসামিরা রিক্তার সাথে র্দুব্যবহার করতো ও আতœহত্যার প্ররোচনা দিতো। রিক্তার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে শুনে আসামিদের এধরনের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়। কিন্তু আসামিরা বাদি কমল দেবনাথের কথায় কোন কর্নপাত করেনি। পারিবারিক বিষয় নিয়ে গোবিন্দ দেবনাথের ঘরে অন্য আসামিরা রিক্তার সাথে ঝগড়া বিবাদ করতো। আসামিদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে রিক্তা দেবনাথ ঘরের আড়ার বাঁশের সাথে গলায় শাড়ি পেচিয়ে আতœহত্যা করে। বাদি কমল দেবনাথ খবর পেয়ে যেয়ে দেখেন আসামি গোবিন্দ দেবনাথের ঘরের বারান্দায় দেখতে তার বোনের লাশ পড়ে রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করেন।