যশোর প্রতিনিধি :নীতিমালা লঙ্ঘন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে যশোরের চারটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যৌথ অভিযান চালিয়েছে সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসন। অভিযানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিনব্যাপী অভিযানে গ্রাহক প্রতারণার দায়ে পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৫০ হাজার টাকা, জনতা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডে ৫০ হাজার টাকা, ডিএনএ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৩০ হাজার টাকা ও সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডিএনএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে টেকনিশিয়ান কম্পিউটারের মাধ্যমে মেডিকেল রিপোর্টে স্বাক্ষর বসাতেন। অন্যদিকে, জনতা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের ফ্রিজে ৪ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে, যা অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছিল।
সিভিল সার্জন অফিসের উপজেলা মেডিকেল অফিসার রওশন আরা লিজা জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উদ্ধার এবং অন্যান্য অনিয়মের কারণে এই জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিহির দায়ান আমিন জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারায় চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তা আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ডিএনএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে রিপোর্ট তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে। জনতা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডের ফ্রিজে দীর্ঘদিনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে, যা অস্ত্রোপচারের সময় ব্যবহারের জন্য রাখা হতো। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মিহির দায়ান আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসন ।