কেউ কেউ বলছেন ২০২৪ দ্বিতীয় স্বাধীনতা এটা পেলেন কোথায় কে আবিষ্কার করলো? মির্জা আব্বাস

ঢাকা অফিস: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, সংবিধান রাফ খাতা না, যে চাইলেই পরিবর্তন করা যায়। এই অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? তিনি বলেন, মনে হচ্ছ সংবিধান রাফ খাতা, মানুষ গিনিপিক। যারা বলেন সংবিধান ফেলে দিতে হবে, তারা মুক্তিযুদ্ধে যান নাই।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মির্জা আব্বাস বলেন, যারা ২০২৪ সালকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছেন, তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করছেন। কেউ কেউ বলছেন ২০২৪ দ্বিতীয় স্বাধীনতা, এটা পেলেন কোথায়, কে আবিষ্কার করলো? আপনারা কি দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করছেন? সংবিধান নিয়ে কিছু করতে হলে যারা স্টেক হোল্ডার তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

আমাদের কিছু স্নেহস্পদ ছেলে দেশ পরিচালনায় আছে উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, মনে করিয়ে দিতে চাই- বাবার আগে ছেলে হাঁটলে দেশের অবস্থা ভালো হবে না। মানুষ বিনা ভোটের সরকারকে কখনও মানেনি, মনে রাখবেন এখনও মানবে না।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিভক্ত রেখে জাতির কোনো উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। দেশের পরিস্থিতি একটু ঘোলাটে। এই পরিস্থিতি আরও ঘোলাটের মধ্যে যাবে। তবে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আপনারা জাতির জন্য ভালো কিছু করবেন।

সরকার সংস্কারের কথা বললেও এর কোনো লাইন দেখতেছি না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলে না। আবার অনেকে বলেন বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা যদি পাল্টা বলি, ‘আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন’।

তিনি বলেন, কোনো রকম ছলচাতুরি করার প্রয়োজন নাই, জাতিকে সুস্পষ্ট করে জানান, কবে নির্বাচন দিতে চান। জাতি জানতে চায়, জাতিকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে দিবেন, আর জাতি বসে বসে তামাশা দেখবে? এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

‘ইজতেমা দুই পর্বেই, আসতে পারবে না সাদ ও তার পন্থিরা’‘ইজতেমা দুই পর্বেই, আসতে পারবে না সাদ ও তার পন্থিরা’
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি জহিরুল ইসলামের কলিমের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।