শাহারুল ইসলাম ফারদিন, যশোরঃ যশোর সদরের পালবাড়ি নওদা গ্রামের বিশ্বাস বাড়িমোড় রংঘর সংলগ্ন ভৈরব নদীতে সাঁতার শিখাতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ভৈরব নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শী তাওহীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফুটবল খেলা শেষ করে বন্ধুরা মিলে গোছল করতে নামে, রুহান ও সায়েম সাঁতার শিখছিলো নিজেরাই, এক পর্যায়ে দুজনই নদীর গভীরে চলে যায়, রুহানকে সবাই টেনে উপরে তুলতে পারলেও সায়েম উচুলম্মা ও স্বাস্থ্য শরীর ভারী হওয়ায় কেউ সাঁতার না জানায় চেষ্টা চালিয়েও তুলে আনতে পারিনাই বন্ধুরা, অতল গভীরে তলিয়ে যায় সায়েম।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান স্থানীয় ও ৯৯৯ ফোনকল পেয়ে সাথে সাথে ছুটে আসেন ১২ সদস্যের একটি টিম, নদী গভীর হওয়ায় খুলনা ডুবুরীকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনারা। খুলনা থেকে ডুবুরী আসতে সময় লাগবে শুনে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজে নেমে দীর্ঘ একঘন্টার চেষ্টার পর সায়েম কে ভৈরব নদের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার করে আনে স্থানীয়রা।
স্থানীয় লোজকন নদ থেকে সায়েমকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করেই যশোর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। জরুরি বিভাগের ডাক্তার শাহীনুর রহমান সোহান জানান, হাসপাতালে আনবার কমপক্ষে ঘন্টা খানেক আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
সায়েম হুসাইন এবার ক্যান্টনমেন্ট হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন, তার পিতা মজিরুদ্দীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ডিপোতে সিভিলে চাকরি করেন, সে সুবাদে দীর্ঘ ৩/৪ বছর যাবৎ ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন নওদা গ্রামে ফয়সাল আহমেদের একতলা বাসায় ভাড়া রয়েছেন। দুই ভাই বোনের মধ্যে সায়েম ছোট, বড় বোনের বিয়ে হওয়াতে পিতামাতার একমাত্র ছেলে সায়েম পিতামাতার সঙ্গেই থাকতেন, গ্রামের বাড়ি ভোলা বলে ঈমান নামে এক স্থানীয় জানান।
উচুঁ লম্বা ও স্বাস্থ্যবান এমন এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।