জয়পুরহাট প্রতিনিধি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। জয়পুরহাট সদর থানার সামনে বিজয় মিছিলের দিন মেহেদী শেখ (২৫) নিহতের ঘটনায় আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিহত মেহেদীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি বাদী হয়ে জয়পুরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী আইনজীবি আব্দুল মোমিন ফকির এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত মেহেদী শহরের নতুনহাট এলাকার মৃত আলতাফ হোসেন শেখের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ৭০০ থেকে ৮০০ জনতা জয়পুরহাট সদর থানার বাহিরে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর থানা হেফাজতের জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাড়ি নিয়ে এলে বিক্ষুব্ধ জনতা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে থানার ভেতরে প্রবেশ করলে থানায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ককটেল ও গুলি ছুঁড়ে। এ সময় মেহেদী গুলিবিদ্ধ হয়ে। এর কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এতে আরও জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ জয়পুরহাটের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, জেলা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, জনপ্রতিনিধিদের নাম আসামির তালিকায় রয়েছে।
বাদীর আইনজীবী আব্দুল মোমিন ফকির বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট রোববার বিকেলে নিহত বিশালের বাবা মুজিদুল সরকার বাদী হয়ে সদর একই আদালতে ১২৮ জনকে আসামি করে আরও একটি হত্যা মামলা করেন।