যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরে জোসনা খাতুন নামে এক মুসলিম মহিলাকে হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়ার নাটক করে বিয়ে অতপর প্রতারণা, ধর্ষণ এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উজ্জল কুমার বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লম্পট উজ্জল কুমার মেডিল্যাব নামক একটি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ১৮ আগস্ট রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক।
পুলিশ ও বাদীর আইনজীবী সূত্র জানায়, শহরের পুরাতন কসবা কাজী পাড়া এলাকার আজিজ সিটি সংলগ্ন শওকত ওসমানের বাসায় ভাড়া থাকেন, সদর উপজেলা ফরিদপুর গ্রামের মো: নুর আলীর কন্যা জোসনা খাতুন (৩৪)। তিনি শহরে মেডিল্যাব নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রশাসনিক বিভাগে চাকুরি করেন। ঐ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেজপাড়ার উজ্জল কুমার বিশ্বাস (৪৭) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জেরে ২০২১ সালের ২০ জুন এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হিসেবে ধর্মান্তির হন উজ্জল। দেড় লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা রুহি বয়স ৮ মাস। উজ্জল তার পূর্বে স্ত্রী এবং দুটি পুত্র সন্তান আছে এটা গোপন করেছিল। এর মধ্যে ব্যবসার কথা বলে জোসনার কাছ থেকে নানা ছলে কৌশলে ১১ লাখ টাকা নেয় উজ্জল।
০৫ ফেব্রæয়ারি থেকে উজ্জল জোসনার সাথে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পর জোসনার ঠিকানায় ডাকযোগে তালাকনামা পাঠায়। এই ঘটনার পর জোসনা খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, উজ্জল তার পূর্বের স্ত্রী এবং দুটি সন্তান নিয়ে সংসার করছে।
জোসনার সাথে আবারও বিয়ের নাটক করে বাসায় গিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে। এরমধ্যে নিয়মিত সংসার করার দাবি করলে উজ্জল অস্বীকৃতি জানায় এবং পুরনায় হিন্দু হয়ে পূর্বের স্ত্রী-সন্তানদের সাথে সংসার করছে বলে পরিস্কার বলে দেয়। তাছাড়া জোসনার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করারও ঘোষণা দেয় প্রতারক উজ্জল। এই ঘটনায় নিরুপায় জোসনা বাদী হয়ে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে রাতে কোতয়ালী পুলিশ উজ্জলকে গ্রেফতার করে। জোসনা খাতুন লম্পট উজ্জলের দৃষ্টান্ত মূলক শান্তি এবং তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া ১১ লাখ টাকা উদ্ধারেরও দাবি জানিয়েছেন।