যশোরে স্ত্রীর ওপর অভিমানে ১১ মাসের শিশুকে হত্যা করে বাবার আত্মহত্যা 

যশোর প্রতিনিধি 

 স্ত্রীর ওপর অভিমানে যশোরের ঝিকরগাছায় আয়মান হোসেন নামের ১১ মাসের শিশুকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে  আত্মহত্যা করেছে বাবা ইমামুল হোসেন (২৮)।নিহত ইমামুল জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আমজাদ গাজীর ছেলে।

পুলিশ বলছে ,গত রোববার (১১ই আগস্ট) রাতে দশটার দিকে নিজ বসতঘরের ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ইমামুল আত্মহত্যা করেন।

স্থানীয়রা জানান, ইমামুল দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতেন। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম (২৩) কে তার পিতার বাড়িতে যেতে দিতেন না। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী মমতাজ ও ইমামুলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে ইমামুলের স্ত্রী মমতাজ জোর পূর্বক শিশু আইমানকে তার বাবা ইমামুলের কাছে রেখে বাবার বাড়ি হাড়িয়া গ্রামে চলে যান। মায়ের অনুপস্থিতির কারণে শিশু বাচ্চাটি দুধের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। কান্না থামাতে না পেরে বাবা ইমামুল শিশু আইমানকে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর বাবা ইমামুল রাতের কোন এক সময়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ইমামুলের মা রহিমা বেগম বলেন, গতকালকে আমার পুত্রবধূ মমতাজ বেগম আর ছেলে ইমামুল দু’জনে পুত্রবধূ বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল করে। একপর্যায়ে ছোট্ট শিশুটিকে ফেলে রেখে সে বাবার বাড়িতে চলে যায়। দিনের বেলায় আমি নাতিকে খাওয়া দাওয়া করায়ে কোন রকম রেখেছিলাম। রাতে আমার নাতিকে নিয়ে আমার ছেলে ইমামুল ঘুমায়। সকালে উঠে দেখি আমার ছেলের মরদেহটি ঘরের মধ্যে রশিতে ঝুলছে। পাশে বিছানায় আমার নাতি আইমানের মরদেহ পড়ে আছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে ইমামুল আত্মহত্যা করেছে। ইমামুলের ঘরে তার ছোট্ট শিশু সন্তান আইমানকেও মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর ওপর অভিমান করে শিশুটিকে রেখে তার মা মমতাজ বেগম বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ায় সে বাচ্চাটিকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।