যশোর প্রতিনিধি
যশোরের বাঘারপাড়ায় চার ডাকাতকে আটক করেছে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শুকদেবনগর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হলো নড়াইল নড়াগাতি থানার নয়নপুর গ্রামের মৃত মোক্তার আলীর ছেলে বরখাস্ত পুলিশ সদস্য মিজানুর রহমান (৪০), শার্শা উপজেলার সাতাই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ও গোগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কামরুজ্জামান(৩৫), একই গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার (৪২), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাসখোলা গ্রামের জোমাদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৩২)। ডাকাত চক্রের বাকি চার সদস্য পালিয়েছে।
এ ঘটনায় টয়োটা স্কয়ার ঢাকা মেট্রো চ- ১৯-৯৬৯৪ মডেলের গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গাড়ির ড্রাইভার আশরাফুজ্জামান ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার উদ্দেশ্য ভোরে খুলনা জিরো পয়েন্ট হয়ে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া পৌছালে ডাকাত দলের কবলে পড়েন। তাৎক্ষনিকভাবে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের গাড়ি দিয়ে ইকবালের গাড়ির গতিরোধ করে ব্যারিকেড দেয়। গাড়িতে থাকা ইকবাল ও ড্রাইভার আশরাফুজ্জামান তারা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাদেরকে হাত মুখ বেঁধে ফেলে।
তাৎক্ষনিকভাবে ডাকাত দলের সদস্যরা গাড়ির নিয়ন্ত্রন নেয়। পরে দুজনকে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালি গ্রামের এক ফাঁকা জায়গায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে দুজনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জিপিএসের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে চাড়াভিটা এলাকায়।
চাড়াভিটা এলাকার লোকজন গাড়িটি দেখে থামানোর চেষ্টা করলে তারা উল্টো পথে চলে যায়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা শুকদেবনগর গ্রামে পৌঁছে গাড়ি রেখে পালানোর চেষ্টা করে। গ্রামের উৎসুক জনতা তাদেরকে চোর ভেবে মারধর করে।
পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে চার ডাকাতকে আটক করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে রেখেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ডাকাত আটকের খবরে বাঘারপাড়া এলাকায় দ্রুত যান
ও এলাকা পরিদর্শন যশোর ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ ও প্রশাসন ) সাইফুল ইসলাম, ডিবি ওসি রুপম কুমার সরকার