ঢাকা অফিস: ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “যুবলীগ-ছাত্রলীগ বুঝি না অপরাধী অপরাধীই। সরকারি দলের ছত্রছায়ায় কেউ অপরাধ করেও পার পাবে না।
তিনি বলেন, “যে অপরাধ করবে, সে আমাদের কাছে অপরাধী হিসেবে পরিচিত। কোন দলের সেটা বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর।
সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক যড়যন্ত্র হয়েছে। ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়, তাই ভোটার তাড়ানোর জন্য অনেক কিছু করেছে। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে।”
তিনি বলেন, “যারা বলে দেশের মানুষের ভোটের প্রতি কোনো অগ্রহ নেই, সেটা মিথ্যা। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে।
শেখ হাসিনার হাতেই দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ এটা মানুষ বিশ্বাস করে” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সর্বশেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাজনীতির প্রতি জনগণের আগ্রহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ তা প্রমাণ করে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সুনাম বিদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে কিন্তু তাদের কথায় চলে না। যারা বলে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কথায় চলে, তারাই বিদেশিদের প্রভু মনে করে তাদের কথায় চলে৷ সরকার কোনো নির্দোষ মানুষকে জেলে রাখেনি। যারা অপরাধী, যারা দোষী তাদেরকেই বিচার করছে জেলে রেখেছে। শেখ হাসিনার প্রশংসা বিশ্ববাসী করে বললেই বিএনপির অন্তর্জ্বালা করছে।
তিনি বলেন, “সরকার কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয় না। সে যদি সরকারি দলেরও হয়ে থাকে তারপরও তাকে ছাড় দেবে না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “রমজান আসলেই একটা মহল দ্রব্যমূল্য বাড়ায়। কিন্তু সরকার এবার বেশ কঠোর। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সতর্ক। এই সময়ে সরকার দ্রব্যমূল্য কমালেও কোনো প্রশংসা নেই বিএনপির।
তিনি বলেন, “সরকার ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করেছে। এমনটি অন্য কেউ কখনো করেনি। এর প্রশংসা যারা করে না তারা স্রেফ বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে বিএনপি।
রমজান মাসে বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রমজানে কর্মসূচি রাখলে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নেতৃত্ব দেয় দুর্নীতি বরপুত্র। তারেক রহমান যতদিন বিএনপির নেতৃত্ব দেবে ততদিন বিএনপি অপ্রসাঙ্গিক হয়ে পড়বে। তার কারণেই জনগণ থেকে বিছিন্ন। সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন যথাযথভাবে হয়েছে। বিএনপি সভাপতি পদে জয়লাভ করে প্রমাণ করলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে সরকার অপরাধের ব্যাপারে যখন কাউকে ছাড় দেয় না তখন বুঝা যায় সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখে সে যতই প্রভাবশালী হোক।