যশোর প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক যুবতীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করার এক পর্যায় ভূয়া কাবিন নামা সৃষ্টি করে ধর্ষন করার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ লম্পট ধর্ষক হাদিউজ্জামান মানিক (৩২)কে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দার পাড়ার হামিদ ওরফে ছোট মনুর ছেলে।
যুবতী (২৭) শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় লম্পট হাদিউজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, হাদিউজ্জামান মানিক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত শহরের ছোটনের মোড় জনৈক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে রেখে যৌন যুবতীর সাথে সম্পর্ক করে। যুবতী বিয়ের কথা বললে আজ না কাল বলে ঘুরাতে থাকে। লম্পট হাদিউজ্জামান যুবতীকে বলে তাকে নগদ ৮০ হাজার টাকা দিলে তাকে বিয়ে করবে। যুবতী হাদিউজ্জামানের কথায় রাজী হয়ে গত ৪ মে দু’জনের উপস্থিতিতে শংকরপুর চোপদার পাড়ার কাজী আব্দুল সালামের বাড়িতে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ৪ মে থেকে থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত হাদিউজ্জামান মানিক যুবতীর পিতার বাড়িতে স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে বসবাস করে। পরবর্তীতে যুবতী জানতে পারেন হাদিউজ্জামান মানিকের সাথে বিয়ের নিকাহ নামায় হাদিউজ্জামনের স্বাক্ষর নেই। হাদিউজ্জামান গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী হতে চলতি বছরের ২৫ জুলাই পর্যর্ন্ত ভাড়া বাড়ি ও যুবতীর পিতার বাড়িতে ধর্ষন করেছে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে কোতয়ালি মডেল থানায় লম্পট হাদিউজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। শনিবার ৭ আগষ্ট ভোর রাতে শহরের শংকরপুর জমাদ্দার পাড়া লম্পট হাদিউজ্জামানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যুবতীর দেখানো মতে ধর্ষনের অভিযোগে যুবককে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আদালতে সোর্পদ করে।