যশোর অফিস
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূ সাথী আক্তারকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ ও সৎ ছেলে জিসানকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে হত্যা কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র কুড়াল ও শীলের নড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল ২৮ এপ্রিল সকালে মিন্টুর চাতালের ঘর থেকে গৃহবধূ সাথী আক্তারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই শহিদুল ইসলাম মনিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে পুলিশের একাধিক ইউনিট মনিরামপুর থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যৌথভাবে তদন্তে নামে। সোমবার রাতে অভয়নগরের শংকরপাশা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বামী মিন্টু ও সৎ ছেলে জিসানকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে। তাদের দেখানো মতে, নিজ বাড়ি থেকে একটি কুড়াল ও শীলের নড়া উদ্ধার করা হয়,যেগুলো দিয়ে সাথী আক্তারকে খুন করা হয় ।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।