যশোরে আফিল লেয়ার ফার্ম লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

Share

যশোর প্রতিনিধি 
যশোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছায় অবস্থিত আফিল লেয়ার ফার্ম লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ হাজার লেয়ার মুরগি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির আনুমানিক ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে ফার্মটির একটি শেডে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আগুন লাগার খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ৫টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৪টা ২৫ মিনিটে সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মেহেদী হাসান রাব্বি জানান, “ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আমরা সঙ্গে সঙ্গে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, কিন্তু প্রচণ্ড বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শেডের সিলিংয়ের মাধ্যমেই আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।”
ফার্মের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক আসাদুল হক বলেন, “আমাদের শেডগুলো অত্যাধুনিক। এই শেডে মোট ৬টি ইউনিটে ৪০০ ফুট লম্বা ১৬টি খাঁচা ছিল। আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে একটি ইউনিটও রক্ষা করা যায়নি। এতে প্রায় ৫০ হাজার মুরগি পুড়ে মারা গেছে এবং আমাদের ২০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ঘটনাস্থলে কর্মরত স্টাফরা প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করলেও অগ্নি নির্বাপণ সম্ভব হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।”
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, “আগুনের সূত্রপাতের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত না হলেও, প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটকেই দায়ী করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি বলেন, খবর পেয়ে যশোরের ৩টি ও মণিরামপুরের ৩টি মোট ৫টি ইউনিট অগ্নিসংযোগ স্থলে গিয়ে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে একটি শেড পুড়ে গেলেও বাকিগুলো অক্ষত রয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি তিনি।

Read more