বিএনপি নেতাদের মাথা ঠিক নেই ওবায়দুল কাদের

ঢাকা অফিস: সরকার দুর্বল ও জনমত না থাকায় মিয়ানমারের বিপক্ষে কোনো লিখিত প্রতিবাদ জানাতে পারেনি- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা পাগলের প্রলাপ বকছে। বিদেশিরা সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বলায় বিএনপি নেতাদের মাথা ঠিক নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা করেছেন সেটার জন্য জাতিসংঘসহ সারা পৃথিবী প্রশংসা করেছে। তখনকার বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে মানবিকতার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য তাকে মানবতার মা বলা হয়।

কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমেরিকা, রিশি সোনাক একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছিল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বার্তা দিয়েছিলেন একসঙ্গে কাজ করার। এখন তো তাদের সব আশাই শেষ। তারা ভেবেছিলেন বিদেশি বন্ধু তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে। সে আশা একেবারেই শেষ হয়ে গেছে। আটলান্টিক ওপার থেকেও কোনো বার্তা আসেনি, আবার এইদিক থেকেও কোনো বার্তা আসেনি বা আসার কারণও নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি রোহিঙ্গাদের প্রথম আসতে দেয়। যখন তারা ক্ষমতায় ছিল তারা যে সুযোগ দিয়েছিল, সেটা কি তারা ভুলে গেছে?

সরকার দুর্বল ও জনমত না থাকায় মিয়ানমারের বিপক্ষে কোনো লিখিত প্রতিবাদ জানাতে পারেনি, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা পাগলের প্রলাপ বকছে। এদের মাথা ঠিক নেই। দেখে চারদিক থেকে প্রশংসা। শেখ হাসিনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। তারা বলছে, আরে এটা তো হবার কথা না, এটা কীভাবে হবে। আরও অনেক কিছুই হবে তারা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে। চেয়ে চেয়ে চোখের পানি ফেলবে।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত ইন্ডিয়ায় কোন প্রভাব ফেলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এই রেশ ইন্ডিয়াতেও গেছে। ভারতীয় সীমান্ত দিয়েও মিয়ানমারের বেশ কিছু লোকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ওদের সীমান্ত রক্ষীও গেছে। ইন্ডিয়া যে মাথা ঘামাচ্ছে না, তা না। ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেওয়ালও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে গেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে আছেন। জয়শংকর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অজিত দেওয়াল তাদের সঙ্গে এর মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ আলাপ আলোচনা করেছেন। এই আলোচনার মধ্যে মিয়ানমার ইস্যুটা গুরুত্ব পেয়েছে।