কুষ্টিয়ায় যুবককে ১০ টুকরো করে হত্যা,দুই আসামি রিমান্ডে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় আলোচিত মিলন হত্যার ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এ আদেশ দেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ৬ আসামির মধ্যে ৪ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এস কে সজিব ও ইফতি খানকে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এর আগে গত রোববার বিকেলে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলার আসামিরা হলেন-কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সজীব শেখ (২৪), কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১), হাউজিং সি ব্লকের ইফতি খান ও ডি ব্লকের সজল ইসলাম (১৮)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজু মোহন সাহা বলেন, মিলন হত্যাকাণ্ডে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লিংকন, জনি, সজল ও ফয়সাল হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি সজিব ও ইফতির বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এস কে সজিব কিশোর গ্যাং গ্রুপের প্রধান। শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার কারণে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় সজিব’কে। এরপর তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীদের দাবি করা চাঁদা না দেওয়ার কারণে মিলন হোসেনকে হত্যার পর মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের চার স্থান থেকে মরদেহের ১০ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মিলন হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহির মাদি এলাকার মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত ১০ মাস আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী মিমিকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।