গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করেছে কোতোয়ালি থানা

যশোর প্রতিনিধি 
যশোরে সালমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। বাধ্য হয়ে নিহতের মা ফিরোজা বেগম সাতজনের নামে আদালতে অভিযোগ করেন। বিচারকের নির্দেশে আজ শনিবার নিয়মিত মামলাটি রেকর্ড করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার বাদী নিহতের মা সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের ফিরোজা বেগম ।
আসামিরা হলো, সদর উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের ইসমাইল হোসেন মোল্লা, তার স্ত্রী পাতাসি বেগম, চার ছেলে আমির হামজা, জহির, পান্না, রুবেল এবং মিলনের স্ত্রী মনিহার বেগম।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই আসামি আমির হামজার সাথে সালমার বিয়ে হয়। তাদের সাত বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিকভিন্ন সময় যৌতুক বাবদে আমির হামজা টাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়েছেন ফিরোজা বেগম। এরপরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে বিভিন্ন সময় সালমার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আমির হামজা। ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য সালমাকে মারপিট করে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়াইয়া দেয় সকল আসামিরা। এরপর সালমার মৃত্যু হয়। গত ১১ জানুয়ারি এই ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ দেন নিহত সালমার মা ফিরোজা বেগম। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ আগামি সাত কার্য দিবসের মধ্যে মামলাটি গ্রহণ করে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করার জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দেন। পরে মামলাটি থানায় রেকর্ড হয়।