যশোরে শিক্ষার্থী অপহরন অভিযোগে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর অফিস: যশোরে প্রকাশ্য দিবালোকে যশোর সদরের ক্ষিতিবদিয়া এলাকা থেকে স্কুল পড়ূয়া শিক্ষার্থী ফাইজা জানান মৌমিতা (১৪) অপহরনের অভিযোগে  থানায় মামলা হয়েছে। অপহরনের তিনদিন পর কোতয়ালি থানায় অপহৃতা স্কুল শিক্ষার্থীর পিতা ফিরোজ আহম্মেদ বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার মুড়োলী খাঁপাড়া মাঠপাড়া গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আরফিন আহম্মেদ হৃদয় ওরফে বাবু, তার মাতা নুরুন্নাহার ওরফে বুড়ি,একই এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে ঈশা ও মৃত মোসলেম সরদারের ছেলে মুন্নাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে দাউদ পাবলিক স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে লেখাপড়া করেন। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ঈশা ও মুন্নার সহায়তায় আরেফিন আহম্মেদ হৃদয় ওরফে বাবু বাদির স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মৌমিতা বাবুর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে অপহরণ করে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। মৌমিতা বিষয়টি বাদিকে জানালে বাদি বাবুর মাতা নুরুন্নাহার ওরফে বুড়ির সাথে যোগাযোগ করে যাতে বাবু বাদির নাবালিকা মেয়েকে উত্যক্ত না করে তার জন্য অনুরোধ করলে বুড়ি বাদির কথায় কর্নপাত না করে তার ছেলেকে  উসকানী দেয়। বাবু তার সহযোগী ঈশা ও মুন্নার সাথে  ষড়যন্ত্র করে বাদির মেয়েকে অপহরণ করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। বাদির মেয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য গত ২২ জানুয়ারী সকালে বাড়ি হতে পায়ে হেটে সকার সাড়ে ৭ টায় ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের ইউনাইটেড কলেজিয়েট স্কুলের পশ্চিম পাশের্^ ইটের সলিং রাস্তার উপর পৌছালে বাবু তার সহযোগীদের সহায়তায় অজ্ঞাতনামা রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সাদা রংয়ের প্রাইভেট কাওে এসে বাদির মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের  ঘটনা স্থানীয় লেকজন দেখে বাদিকে জানালে বাদি বাবু মা নুরুন্নাহারের সাথে  মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার মেয়েকে ফেরত চাইলে নুরুন্নাহার হুমকী দিয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেয়। বাদি বিষয়টি থানায় এসে মামলা করেন।