যশোর কোতয়ালি থানায় আইনের সেবা নিতে আসা জনসাধারণের মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ

বিশেষ প্রতিনিধি
কোতয়ালি থানায় মোটর সাইকেল নিয়ে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ করেছেন খোদ থানার অফিসার ইনচার্জ এমন অভিযোগ করেছেন অনেকে। মঙ্গলবার ২ জানুয়ারী যশোর কোতয়ালি থানায় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আইনের সহায়তা নিতে আসা মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশে বাধার মুখে পড়েন ভূক্তভোগীরা। তারা থানা কর্তার নতুন এই আদেশ শুনে হতবাক হয়ে পড়েন। তারা তাদের ব্যবহৃত সাথে নিয়ে আসা মোটর সাইকেল বাইরে কার দায়িত্বে রাখবেন এমন প্রশ্নের সৃষ্টি হলে অনেকে মোটর সাইকেল নিয়ে থানা প্রবেশে বাধা নিষেধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দুপুর আড়াইটার পর কোতয়ালি থানায় এক সাংবাদিক কর্মী তার মোটর সাইকেল নিয়ে থানায় প্রবেশের মুখে  কর্তব্যরত কনস্টেবল ওহিদ তাকে বাধা দেন। তিনি নিজেকে সাংবাদিক কর্মী দাবি করলেও তাকে প্রবেশে থানার অফিসার ইনচার্জের বাধা নিষেধ নির্দেশ বলে জানান। সংবাদ কর্মী বাধার মুখে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকের সরকারি মুঠোফোনে ফোন করে থানায় সংবাদকর্মী মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধ করার কথা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি  প্রথমে বলেন, বাধা নিষেধ করা হয়নি। তাছাড়া তিনি আরো বলেন,জনসাধারণ থানায় মোটর সাইকেল রেখে বাজার করতে যান। তাই নিষেধ করা হয়েছে। সংবাদকর্মীকে নিষেধ করার কথা বলা হয়নি। তিনি কর্তব্যরত কনস্টেবলকে তার কথা বলতে বলেন। কোতয়ালি থানা চত্বরে জনসাধারণ তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল নিয়ে বিভিন্ন আইনের সহায়তা নিতে এসে থানা কর্তার নিষেধাজ্ঞা বিষ ফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে।  অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালি থানায় যোগদান করে কিছুদিন পর থানায় মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সে সময় একজন সংবাদকর্মী বাঁধার মুখে পড়লে কর্তব্যরত কনস্টেবল সংবাদকর্মীকে বলেছিলেন নাশকতা আতংকে থানা কর্তা এমন নিষেধ করেছেন। এ ব্যাপারে সেই সময় থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে ফোন করলে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি তাই নয়।