সাদিক আবদুল্লাহ ও শাম্মী আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলই থাকবে

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলই থাকবে।

মঙ্গলবার সকালে শাম্মী আহমেদের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। একইসঙ্গে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতার বিষয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

ফলে শাম্মী আহমেদ ও সাদিক আবদুল্লাহ দুজনই নির্বাচন করতে পারছেন না।

নৌকার প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন। শাম্মী আহমেদ তার মনোনয়নপত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দূতাবাসের সহায়তায় এ অভিযোগ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দিলে সে অনুয়ায়ী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ইসিতে পাঠানো হয়। এর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। একই সঙ্গে তার অভিযোগের নিষ্পত্তি করে পঙ্কজ নাথের প্রার্থিতা বহাল রাখা হয়। পরে শাম্মী আহমেদ রিট করলে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। পরদিন তিনি চেম্বার আদালতে আবেদন করলেও বিচারক কোনো আদেশ দেননি। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এরপর শাম্মী ফের আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আজ সেটি খারিজ করে দেন। এর ফলে বাতিলই রইল শাম্মীর প্রার্থিতা। অপরপক্ষে বহাল রইলেন জাহিদ ফারুক।
অন্যদিকে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধেও দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা ওই আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়। এরপর ইসির ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করলে আদালত ইসির আদেশ বহাল রাখেন। এরপর চেম্বার আদালতেও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখা হয়। আজ আপিল বিভাগ ওই আদেশই বহাল রাখেন