যশোরে ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত আইনের আওতায় আনা হয়নি ভেজাল কারবারীদের

বিশেষ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার ৪নং নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘুরুলিয়া গ্রামে কৃষি কর্মকর্তা সমন্বয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক চারশ’ মেট্রিক টন ভেজাল সার জব্দ ও তিনটি গোডাউন সিলগালার ঘটনা ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত এখনও আইনের আওতায় আনা হয়নি ভেজাল সার উৎপাদনকারী মালিককে। ফলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছেন,যশোর সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের একটি বাড়ি সংশ্লিষ্ট এ আর এগ্রো কেমিক্যালস নামক সার কারখানায় অভিযান চালায় সার ব্যবস্থাপনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকাস্থ উপ-পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম,যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকতর্ঃ হাসান আলী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম। ১৩ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত গভীর রাতে আকস্মিক অভিযানের ফলে এ আর এগ্রো কেমিক্যাল নামক সার কারখানায় কি উৎপন্ন হয় তা বেরিয়ে আসে। অভিযানিক দলের অভিযানের ফলে ওই কারখানায় কর্মরত নারী পুরুষ শ্রমিকেরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ওই কারখানায় তৈরীকৃত ভেজাল ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সারের আরো দু’টি গোডাউনের সন্ধ্যান দেন। এই কারখানায় তৈরী করার অনুমতি রয়েছে জিঙ্ক সালফেট হেপ্টা হাইটেড উৎপাদন করার কথা। তা না করে ভেজাল ভাবে জিঙ্ক সালফেট মনোহাইটেড এর আকৃতির দানাদার সার উৎপন্ন করছেন। যার কারনে অভিযান টিম কারখানায় তৈরীকৃত ভেজাল সারসহ দু’টি কারখানায় ৪শ’ মেট্রিকটন ম্যাগনেসিয়াম সালফেট জব্দ করেন। যা ভেজাল সার উৎপন্নর জন্য মুজত করা হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের সামনে জানিয়েছেন। তিনি ভেজাল ম্যাগসেয়িাম সালফেট জব্দ করলেও শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও ভেজাল সার কারবারীর বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা পর্যন্ত করা হয়নি। এ আর এগ্রো কেমিক্যাল সার খানার মালিক রাজু আহমেদ এর কারখানায় অভিযানের খবরে ঘুরুলিয়াসহ আশপাশ এলাকায় গড়ে ওঠা ভেজাল সার উৎপন্নকারীরা চরম আতংকের মধ্যে পড়েছেন। যে কোন সময় এধরনের অভিযান আবার হতে পারে এমন আশংকা করছেন ভেজাল সার কারবারীরা। তাছাড়া, ভেজাল সারের উপকরণ জব্দ করা হলেও আইনের আওতায় না আসায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। অবিলম্বে এধরনের অভিযান আগামীতে অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন যশোরের কৃষক।