যশোর অফিস
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান রিজেন্ট বোর্ডের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকারের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর মৃত্যুতে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যবৃন্দসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার নিজ বাসা থেকে কাজীপাড়া যাওয়ার পথে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে দ্রুত ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত আল হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ট্রোকজনিত কারণে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মরহুম অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার যবিপ্রবি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় যবিপ্রবির ভিত্তি সুদৃঢ় হয়।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন এবং সেখানে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি কৃষিবিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একজন খ্যাতনামা কৃষি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী হিসেবে দেশের কৃষি খাতের যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়নে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে অবদান রেখে গেছেন।
এক শোকবার্তায় যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরকার ছিলেন একজন সৎ, মানবিক, ধর্মভীরু ও দায়িত্বশীল মানুষ। যবিপ্রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক ও বরেণ্য কৃষি বিজ্ঞানী। শূন্য থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার যে চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করেছিলেন, তা যবিপ্রবি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
তিনি আরও বলেন, তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কৃষি প্রকৌশলীকে হারালো এবং আমরা হারালাম একজন অভিভাবককে। তাঁর স্মৃতি যবিপ্রবি পরিবারের হৃদয়ে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।