যশোর অফিস
যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি ফসিয়ার দফাদারের (৫২) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ভুমি দখল,ঘরবাড়ি ভাঙচুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। তার কথা না মানলে নেমে আসে অত্যাচারের কড়গ। মারধর,জরিমানা আদায় থেকে শুরু করে নারী কেলেঙ্কারির ভুয়া অপবাদ দিয়ে দাবিয়ে রাখেন তার বিরুদ্ধে ওঠা ভিন্ন মতাদর্শীদের।
আওয়ামী সরকারের শাসন আমল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অগত্যা খুঁটির জোরে সাম্রাজ্য ধরে রেখেছেন এই কৃষক লীগ নেতা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন,‘নরেন্দ্রপুর জুড়ে ফসিয়ার দফাদারের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে বিশাল এক কিশোরগ্যাং। যাদের দিয়ে তিনি মাদক ব্যবসাও পরিচালনা করেন।’ এছাড়াও, স্থানীয় ঘের মালিক সাগর মাহমুদ মিরাজ (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, ‘গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়েই প্রকাশ্য দিবালোকে তার ঘের থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে দিয়েছেন ওসিয়ারের জ্ঞানের সদস্যরা।’ সাগর আরো বলেন, ‘এলাকার অন্যান্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মৎস্য নিধন ও একের পর এক ঘের নিজের দখলে নিচ্ছেন ফরসিয়ার দফাদার।’ বিভিন্ন সময় থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েও কোন ফলাফল পাননি তারা। বরং সেখান থেকে ফিরে এসে ফসিয়ারের অত্যাচারের মাত্রা আরো দ্বিগুণ হয়েছে।
ভুক্তভোগী রিহিমা বেগম জানান ফসিয়ারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তার পুরো পরিবার ফসিয়ারের নির্মম নির্যাতনের শিকার তার সন্তানেরা প্রায় ১০/১১ বছর যাবত সন্তানেরা বাড়ি ছাড়া, রিহিমা বেগম আরো বলেন তার ছোট ছেলেকে একবার প্রায় মেয়েই ফেলতে চেয়েছিল এই ফসিয়ার, রহিমা বেগম বলেন ফসিয়ারের অত্যাচার সহ্য করে জীবন যাপন করছে তার পরিবার তিনি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। তারা স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে চাই এটাই তাদের চাওয়া পাওয়া। রহিমা বেগমের মত নরেন্দ্রপুর গ্রামে আরও অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা ফসিয়ারের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে পারছে না।
এখানেই শেষ নয় ফসিয়ারের অত্যাচারের শিকার আর এক ভুক্তভোগী “রেজাউল” জানিয়েছেন ফসিয়ার দফাদারের অত্যাচারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তিনি। আওয়ামী সরকারের আমল থেকেই তার উপরে অত্যাচার করে আসছে, তিনি আরো জানান মামলা বাজ এই ফসিয়ার দফাদারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। দীর্ঘদিন যাবত রেজাউল ফসিয়ার দফাদারের কারনে বাড়ি ছাড়া, এমনও সময় গেছে ফসিয়ার দফাদারের অত্যাচারে বাগানে মোমবাতি জ্বালিয়ে তাকে ভাত খেতে হয়েছে বলে জানান রেজাউল।
সর্বশেষ গত শনিবার ঘের ব্যবসায়ী সাগর মাহমুদ মিরাজের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে এই ফসিয়ার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সাগর জরুরী সেবার নাম্বারে কল দিলে কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মোফাজ্জল হোসেন ফসিয়ারকে আটক করেন। আটকের পর আদালতে সোপর্দ করেন আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।