নির্বাচন ঘিরে তারেক রহমানকে নিয়ে যেসব পরিকল্পনা বিএনপির 

Share

দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর নির্বাসিত জীবনের ইতি টেনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নেতাকর্মী, দলের অনুগামী ও দেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর দফায়-দফায় বিএনপির শীর্ষনেতা ‘শিগগিরই আসছেন’ বললেও অবশেষে এই বিজয়ের মাসে ঢাকায় পা রাখছেন তারেক রহমান। একমাত্র কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ফিরবেন তিনি।

এদিকে নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দলটি। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হলেই সারা দেশ সফরে বের হবেন তিনি। দলটির নেতারা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় দেশে এসেই সশরীরে রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

নির্বাসিত জীবনের পুরো সময়জুড়েই তারেক রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সঙ্গে। ঐক্যবদ্ধ রেখেছিলেন জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার বিএনপিকে। জুলাই অভ্যুত্থানের পুরোটা সময় জুড়েই ছিলেন সক্রিয়। তবে, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাস্তবতায় নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় ছিলেন তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের। সব সমীকরণ পাশ কাটিয়ে অবশেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে আপ্লুত নেতকর্মীরা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিস্তারিত পরিকল্পনা বিএনপির। দেশে ফিরেই মানুষের দুয়ারে যাবেন তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলছেন, খালেদা জিয়ার শূন্যতা পূরণ করবেন তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রতি সমর্থন বাড়বে মানুষের। খালেদা জিয়া যতই সুস্থ হলেও তিনি তো আর আগের মতো মাঠে ফিরতে পারছেন না, যেটা তিনি সারা দেশ ঘুরে করতেন। সেটা এখন করতে হবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে। এছাড়া ধানের শীষের প্রতি সমর্থনটা তারেক রহমান এলে আরও বৃদ্ধি পাবে।

বিএনপি বলছে, দেশব্যাপী গণসংযোগে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতে, নির্বাচনমুখী দেশে তারেক রহমানের আগমন নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা একটা ইতিবাচক অবস্থানে চলে গেছি। আর তারেক রহমানের আগমনে তো স্বাভাবিকভাবেই একটা মাত্রা যোগ করবে। তিনি জনগণের নেতা। তাকে জনগণের কাছে যেতে হবে। তিনি যাবেন। এটাই সব সময় বিএনপির রাজনীতি ছিল। তিনি তো শুধু একজন নাগরিকই নন, একটা দলের বড় নেতা। সুতরাং, তাকে নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব।

এদিকে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করতেও বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।

বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সারা দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন। বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে গুলশান-বনানী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় জনসমাগম ঘটবে।

এই প্রস্তুতির ইঙ্গিত সম্প্রতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব নিজেও। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক দলীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন যেন সারা বাংলাদেশ কেঁপে ওঠে।’ বিএনপি সেদিন দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

 

Read more