যশোরে যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের জননীকে  নির্যাতনের অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি
দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ জেসমিন খাতুন (২৭)কে নির্যাতনের অভিযেগে স্বামী নোনদাই ও ননদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শক্রবার ১৭ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে যৌতুক আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় আসাসী করা হয়েছে গৃহবধূর স্বামী যশোরের কেশবপুর মধ্যকূল গ্রামের আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, নন্দাই কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মোজাহারের ছেলে রেজাউল,ননদ রেজাউলের স্ত্রী রুবিনা।
মামলায় গৃহবধূ উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম গৃহবধূর স্বামী,রেজাউল নন্দাই ও রুবিনা ননদ। রফিকুল ইসলামের সাথে ঘর সংসার করাকালে গৃহবধূর ঘওে এক মেয়ে আয়শা (১১) এবং সিনথিয়া (৭) জন্ম গ্রহন করেন। বছর কয়েক পূর্ব হতে রফিকুল ইসলাম ও ননদ রুবিনা গৃহবধূর কাছে ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে গৃহবধূ তার বিধাব মায়ের অসহায়ত্বের কথা জানালে স্বামী ও ননদ গৃহবধূর উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে এবং যৌতুকের দাবিতে গত ২০ অক্টোবর মারপিট করে বাদিকে তাড়িয়ে দেয়।  গৃহবধূ তার মায়ের বাড়িতে ওঠে। গৃহবধূ তার মায়ের বাড়িতে অবস্থানকালে গৃহবধূ তার বোন বিলকিস খাতুনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৫ নভেম্বর সকালে  স্বামী,নন্দাই ও ননদ গৃহবধূও মায়ের বাড়িতে এসে জানতে পারে যে, গৃহবধূ তার বোন বিলকিস খাতুনের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। অতপর তারা ওই দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় বাদির বোন বিলকিস খাতুনের বাড়িতে যায়। বিলকিস  খাতুন তার ছেলেকে মাদ্রাসায় রাখতে যাওয়ায় বিধায় রফিকুল ইসলাম,রেজাউল ও রুবিনা খাতুনকে অপেক্ষা করতে বলে মাদ্রাসায় যায়। বিলকিস খাতুনের  অনুপস্থিতিতে  গৃহবধূর নিকট ২লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে গৃহবধূ যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে স্বামী রফিকুল ইসলাম গৃহবধূর গলা চেপে  শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করতে থাকে। নন্দাই রেজাউল বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে জখম করে। রুবিনা গৃহবধূর দুই হাতে কাঠের চলা দিয়ে আঘাত করে জখম করে। গৃহবধূর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসলে আগামীরা মটর সাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। গৃহবধূর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরের দিন কিছুটা সুস্থ্যহয়ে গৃহবধূ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোতয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা গ্রহন না করায় গৃহবধূ আদালতের স্মরনাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে থানার অফিসার ইনচার্জ যৌতুক আইনে মামলা রের্কড করেন।