ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্র হাতে রাতের অন্ধকারে নয়, সরকার গঠন করা হবে ভোটের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সময় লক্ষ্য ছিল জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। ভোটের মধ্য দিয়েই সরকার গঠন হবে, অস্ত্র হাতে না, রাতের অন্ধকারে না।’
শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনি আইন বিভিন্ন সংস্কার ও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব— এ স্লোগান দিয়ে মানুষকে আমরা ভোট নিয়ে সচেতন করি। ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করি। যে ক্ষমতা সেনানিবাসে বন্দি ছিল সেটা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি আমরা।
টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা তৃণমূলের মানুষকে লক্ষ্য রেখেই করা। শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় লোক লাভবান হবে— যা ক্ষমতায় আসলে স্বৈরশাসকেরা করত, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু এলিট শ্রেণি তৈরি করত, হাতে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য, ধন-সম্পদ তুলে দিয়ে, তাদের ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করত, আমাদের সেটা ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল জনগণের ক্ষমতায়ন। তৃণমূলের মানুষ যাতে ক্ষমতা পায় তা নিশ্চিত করা।’
নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির জনগণের ভোটে আস্থা নেই। এটা তাদের বিষয়। আমরা সংবিধান মেনে ভোট করব।
বিএনপির নেতৃত্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দলের নেতাই নেই। খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবেন না, তারেক জিয়াও পারবেন না। তারা দুজনই দণ্ডিত আসামি। তাদের নির্দেশে বিএনপি কেন নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাস করছে?
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে না চাইলে না করুক। সন্ত্রাস করছে কেন? বিএনপি নেতাকর্মীরা অগ্নিসন্ত্রাস করছে। বাস পোড়াচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে। তাদের ওপর মানুষের অভিশাপ।
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাস করছে তাদের ধরিয়ে দিন। জনগণ সচেতন হলে তারা অগ্নিসন্ত্রাসের সাহস পাবে না।