যশোর প্রতিনিধি: স্বর্ণেরবার আত্মসাতের অজুহাতে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর অপহরণের স্বীকার ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) নামের সেই যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের ৫ দিনের মাথায় অপহৃতের লাশ মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার বাগান থেকে উদ্ধার করলো মাগুরা থানা পুলিশ। মাগুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেকেন্দার আলী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটি বেনাপোল পোর্টথানার অপহরণ মামলার ভিকিটিম ওমর ফারুকের। লাশটি বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অপহৃতের লাশ উদ্ধার হলেও এখনো পর্যন্ত এজাহার নামীয় আসামীরা গ্রেফতার হয়নি। অপহরণ পরবর্তী ওমর ফারুকের লাশ উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকান্ড নিয়ে নিহতের স্বজনসহ এলাকাবাসী ক্ষোভ জানিয়েছে। স্বর্ণকান্ডে নির্মম হত্যাকান্ডের স্বীকার ওমর ফারুক সুমন শার্শার টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। অপহরণের ২দিন পরে নিহতের মাতা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত এজাহার নামীয় আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারিনি । নিহতের পরিবার ও মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ওমর ফারুক বাসা থেকে কালো রং এর পালসার মোটরসাইকেল যোগে পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। পরবর্তী দিন ১২ তারিখ সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি ফোন কলে ওমর ফারুকের পরিবার জানতে পারে সে অপহরণ হয়েছে। ১৫ নভেম্বর বুধবার রাতে মাগুরা জেলার আমখালীর নির্জন বাগানে সকালে মিললো অপহৃত ওমর ফারুকের লাশ। স্বর্ণকান্ডে সুমন অপহরণ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মূলত ৩ কোটির অধিক মূল্যের স্বর্ণ ছিনতাই ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই বহনকারী ওমর ফারুক সুমনকে বেনাপোল পোর্ট থানা হতে ২৫০ গজ দূরের একটি তৃতীয় তলা ভবনের কক্ষে আটকিয়ে রাতভর মারধরসহ অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অপহরণকারীদের ইন্ধনের নেপথ্যে চেয়ারম্যান, একাধিক কাউন্সিলরসহ আরো অনেক রাজনৈতিক দলের বড় নেতারা রয়েছে বলে দাবি করেছে সূত্রটি। যা প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে। প্রশাসনের একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাটির সিজিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।